একজন শিক্ষানুরাগী

যোগান দিতে হবে। তাহলেই বর্তমান সরকারের শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচী সফল করা সম্ভব হবে। এ প্রত্যয় ব্যক্ত করে নিজ অর্থে দুঃস্থ, অসহায় ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার দায়িত্ব নিয়ে এলাকায় বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার নগরবাড়ি গ্রামের সমাজ সেবক ওয়াজেদ আলী খানের পুত্র বিশিষ্ট শিল্পপতি গোলাম মর্তুজা খান (৪৫)। চলতি বছর তিনি উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে প্রায় ১০ লক্ষ টাকার বই বিতরন করেছেন। এছাড়াও দীর্ঘদিন থেকে তার দেয়া অনুদানে লেখাপড়া করছেন উপজেলার শত শত দুঃস্থ, অসহায় পরিবারের মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা। এ কথায় পড়াশুনার সাহায্যের জন্য তার কাছে গিয়ে আজ পর্যন্ত কেউ খালি হাতে ফিরেননি। পেশায় তিনি একজন বিশিষ্ট শিল্পপতি। ঢাকায় ব্যবসা পরিচালনার পাশাপাশি দীর্ঘদিন থেকেই তিনি সর্বদা এলাকার উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখে চলেছেন। তারই আর্থিক সহযোগীতায় উপজেলার অসংখ্য কন্যাদ্বায়গ্রস্থ পিতা তার কন্যাকে পাত্রস্থ করেছেন। ফলশ্র“তিতে তিনি এলাকার সর্বস্তরের জনগনের কাছে শ্রদ্ধার পাত্র হয়ে দাঁড়ান। সম্প্রতি অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলাবাসীর অনুরোধে তিনি চেয়ারম্যানপ্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেন। দক্ষিণাঞ্চলের সংখ্যালঘু অধুষ্যিত আগৈলঝাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে শুধু উপজেলাবাসীকে দেয়ার জন্য নিজ অর্থে ইতোমধ্যে তিনি এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন মুলক কাজ করে চলেছেন। বলেন, দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে বেকারত্বের সংখ্যা যে কারনে দারিদ্রের যাঁতাকলে পিষ্ঠ হয়ে অনেকে জড়িয়ে পরছেন বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে। ওইসব বেকার যুবকদের কর্মমুখি করে তুলতে পারলে অপরাধমূলক কর্মকান্ড অনেকাংশে কমে যাবে। তিনি আরো বলেন, চেয়ারম্যান হিসেবে নিতে আসিনি দিতে এসেছি। বাংলাদেশের মধ্যে আগৈলঝাড়া উপজেলাকেই কেবল একমাত্র ডিজিটাল ও মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চাই। তিনি সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বজায় রেখে হিন্দু, মুসলিম ও খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের সকলে নিয়ে মিলেমিশে বসবাস করতে চান। তিনি আরো বলেন, দূর্নীতি ও দালাল মুক্ত প্রশাসন এবং অনিয়ম-দুর্নীতির উর্ধ্বে থেকে উপজেলা পরিষদকে একটি শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলাই হবে আমার মুল কাজ।