এক যাদুকরী ভেষজ উদ্ভিদ ঘৃত কুমারী

ঔষধি গুনের কথা ভুলে যাচ্ছে। এককালে দেশের বন-জঙ্গলে অযতœ অবহেলায় যে উদ্ভিদটি জন্মাতো আজ তা আধুনিক বিশ্বে শিল্প ও গবেষনায় স্থান পেয়েছে। ঘৃতকুমারী নামের এ ভেষজ উদ্ভিদটি হচ্ছে আধুনিক সৌন্দর্য বিশারদদের আদরনীয় উপাদান এ্যালোভেরা। আমাদের দেশে প্রায় সারে তিন হাজার টন ঘৃত কুমারীর চাহিদা রয়েছে। পরিকল্পিত চাষের মাধ্যমে আমরা এর চাহিদা মিটিয়েও বিদেশে রপ্তানী করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করতে পারি। আমাদের দেশের আবহাওয়ায় চাষপোযোগী ঘৃত কুমারীর স্বাদ দিয়ে মুসাব্বার তৈরী হয় যার চাহিদা রয়েছে উন্নত বিশ্বসহ সারা বিশ্বে। জাপান, থাইল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, যুক্তরাস্ট্রসহ পৃথিবীর বহু দেশ এ উদ্ভিদকে পরিনত করেছে রপ্তানি পন্যে অথচ আমাদের দেশে এর অপার সম্ভাবনা থাকা সত্যেও এ ব্যাপারে সরকারের নিতীনির্ধারকদের কোন মাতা ব্যাথা নেই। পরিত্যাক্ত জমিতে ঘৃতকুমারীর বানিজ্যিক চাষ করে ছোট ছোট শিল্প গড়ে তোলে এ শিল্পে প্রায় ৫ লাখ বেকারের কর্মসংস্থান করা সম্ভব বলে অভিজ্ঞমহল মত প্রকাশ করেছেন।
মানুষের দৈহিক বৃদ্ধি ও রোগ নিরাময়ে ঘৃতকুমারীর পাতার রয়েছে এক আশ্চার্য গুন আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদের মাধ্যমে শিল্পের কাঁচা মাল হিসেবে ঘৃতকুমারীর ব্যাপক ভ্যবহার এখন প্রসাধন শিল্পে। উন্নত দেশ গুলোতে ঘৃতকুমারীর আবাদ ও এর ব্যবহার দ্রুত বিস্তৃত হচ্ছে। রপ্তানি পন্যের তালিকায় ঘৃতকুমারীর একটি উল্ল্যেখযোগ্য স্থান দখলে সক্ষম হতে পেরেছে। সংরক্ষন ও প্রক্রিয়াজাতকরনের মাধ্যমে এই উদ্ভিদ তেকে প্রাপ্ত উপাদান বিভিন্ন দেশ রপ্তানি করছে পাশাপাশি পরিকল্পিত চাষাবাদের মাধ্যমে অনেক কর্মসংস্থানের ব্যবস্তা হচ্ছে। আমাদের দেশে অতি সহজেই এর আবাধ সম্ভব হলেও আজও আমাদের দেশে এর কোন পরিকল্পিত আবাদ হচ্ছেনা। আধূনিক ও পরিকল্পিতভাবে ঘৃতকুমারীর আবাদ ও সংরক্ষন, প্রক্রিয়াজাতকরন সম্পর্কে বেকার যুবকদের এর প্রশিক্ষন দিয়ে গ্রামভিত্তিক খামার তৈরি করা হলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা যাবে তেমনি সৃস্টি হবে অনেক বেকারের কর্মসংস্থান। ঘৃতকুমারীর চাষ হতে পারে লাভজনক কৃষিপন্য ও শিল্প উপাদান। আমাদের দেশে প্রায় সারে তিন হাজার টন ঘৃতকুমারীর উপাদান ব্যবহৃত হচ্ছে বিভিন্ন শিল্পে। সাবান লোশন, ক্রিম, শ্যাম্পু, হেয়ারডাইসহ অধিকাংশ প্রসাধনী সামগ্রী তৈরির অন্যতম উপাদান হচ্ছে ঘৃতকুমারী। এছাড়াও আধুনিক চিকিৎসায় ইউনানী, আয়ুর্বেদিক, লোকজ ও হেমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় ঘৃতকুমারীর ব্যাপক হারে ব্যবহার হচ্ছে।