শেখ হাসিনা কলেজের দু’ছাত্রীকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় যুবলীগ নেতার দম্পত্তির ওপর বখাটেদের হামলা

বরিশালের গৌরনদী উপজেলার রাজাপুর গ্রামে।

আগৈলঝাড়া উপজেলার চেংগুটিয়া গ্রামের কাতার প্রবাসী মজলি তালুকদারের কন্যা ও কালকিনি ডাসার শেখ হাসিনা উইমেন্স কলেজের দ্বাদশ শ্রেনীর ছাত্রী ইতি খানম জানান, নন্দনপট্টি গ্রামের বখাটে মাওলা সরদার তাকে ও তার বোন একই কলেজের একাদশ শ্রেনীর ছাত্রী স্মৃতি খানমকে প্রায়ই নানাধরনের উত্যক্ত করে আসছিলো। গতকাল রবিবার দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে ইতি খানম ও তার বোন স্মৃতি খানম টরকী বন্দর থেকে ঈদের কেনা কাটা শেষে ভ্যানযোগে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। পথিমধ্যে রাজাপুর ঈদগাহ মাঠ নামকস্থানে পৌঁছলে মাওলা সরদার তার সহযোগী ছাত্রলীগ নেতা শামীম ফরাজীসহ ৪/৫ জনে তাদের ভ্যানের গতিরোধ করে। এক পর্যায়ে বখাটেরা ইতি ও তার বোন স্মৃতিকে টানা হেচড়া করে ভ্যান থেকে নামায়। এসময় কলেজ ছাত্রীদের ডাকচিৎকারে মটরসাইকেল আরোহী যুবলীগ নেতা রাসেদ হাওলাদার ও তার স্ত্রী মলিনা বেগম বাঁধা দিলে বখাটেরা তাদের ওপর হামলা চালায়। রাসেল হাওলাদার বলেন, মেয়ে দুটির চিৎকার শুনে আমি ও আমার স্ত্রী বখাটেদের বাঁধা প্রদান করি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বখাটেরা আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে বীরদর্পে স্থান ত্যাগ করার সময় মেয়ে দুটিকে অপহরনের হুমকি দেয়।

খবর পেয়ে গৌরনদী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ নুরুল ইসলাম একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাৎক্ষনিক সুমন তালুকদার, এমদাদ তালুকদার, রহিম তালুকদার ও শামীম হোসেনকে আটক করে। গৌরনদী থানার অফিসার ইনচার্জ নুরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, প্রাথমিক ভাবে সুমন, এমদাদ ও রহিমকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় শামীম ফরাজীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার মূলহোতা মাওলা সরদারকে গ্রেফতারের জন্য জোড় প্রচেষ্ঠা অব্যাহত রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।