পৃথক সংঘর্ষে মহিলাসহ ৩০ জন আহত ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান ভাংচুর

প্রতিপক্ষের লোকজনে একটি দোকান ঘর ভাংচুর করেছে। গুরুতর আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় পৃথক ভাবে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত সূত্রে জানা গেছে, গৌরনদীর কমলাপুর গ্রামের সজিব মোল্লার ছাগলে পাশ্ববর্তী সোহরাব মুন্সীর পান বরজের পান নষ্ট করাকে কেন্দ্র রবিবার সন্ধায় উভয়ের মধ্যে বাকবিতন্ডা বাঁধে। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে পরে। সংঘর্ষে সোহরাব মুন্সী, হায়দার মুন্সী, মকবুল হোসেন, বাবু মুন্সী, প্রতিপক্ষ সজিব মোল্লা, রাসেদ মোল্লা, ফালান বেগম, মেষ্টো বেগম, শাহিনুর বেগমসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। গতকাল সোমবার সকালে তুচ্ছ ঘটনায় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হয়েছেন টরকী গুচ্ছ গ্রামের শেফালী বেগম, দক্ষিণ বাউরগাতির শাহাদাত চৌকিদার, বার্থী গ্রামের জেসমিন বেগম, পূর্ব শত্র“তার জেরধরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হয়েছে হরিসেনা গ্রামের সবুজ তালুকদার, বাড়ির ওপর দিয়ে ভ্যান নেয়াকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ পালরদী গ্রামের প্রতিপক্ষ নুরু হাওলাদারের হামলায় আহত হয়েছেন জাহাঙ্গীর হোসেন হাওলাদার। গুরুতর আহতদের গৌরনদী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

অপরদিকে শনিবার রাতে ব্যবসায়ীক লেনদেন নিয়ে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে আগৈলঝাড়ার সীমান্তবর্তী কালবিলা ও কুরালিয়ার দু’গ্রামবাসীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে মহিলাসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত গোলক মন্ডল, ননী মাঝি, গোলাপী রানী ঢালী, সুজন, দিলীপ, মিলন, প্রফুল্ল ঢালী, মনিন্দ্র নাথ, বিচরন বৈদ্য, বলাই বৈদ্ধ, বুদ্ধিশ্বর বৈদ্যকে আগৈলঝাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এদিকে শনিবার রাতে আগৈলঝাড়া উপজেলার সাহেবেরহাটে স্থানীয় বিএনপি ক্যাডার সৈয়দ হাওলাদার ও বাবুল হাওলাদারের নেতৃত্বে একটি ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই বাজারের ব্যবসায়ী স্বপন হালদার অভিযোগ করেন, বাজারের মধ্যে তার পৈত্রিক সম্পত্তিত্বে সম্প্রতি তিনি একটি দোকান ঘর নির্মান করেন। শনিবার রাতে স্থানীয় উল্লেখিত বিএনপি ক্যাডাররা তার দোকান ঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।