গৌরনদীর হাজার হাজার পানবরজ এখন পানির নিচে

পুকুরে মাছ চাষ করে। বন্যার পানিতে তার পান বরজ ও পুকুর তলিয়ে গেছে। বন্যার পানি থেকে পান বরজ ও পুকুরের মাছ রক্ষার জন্য গত ৫ দিন ধরে স্ত্রী, পরিজন নিয়ে দিনরাত চেষ্ঠা চালিয়ে গেছেন ফারুক। গত দু’দিনের অবিরাম বর্ষনে তার সকল চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। শুধু ফারুকেরই নয় এভাবেই বার্থী ও খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের হাজার হাজার পান বরজ, মাছের ঘেরসহ ফসলি জমি এখন পানির নিচে থাকায় নিঃস্ব হয়ে পরেছেন ওইসব এলাকার চাষীরা।


সরেজমিনে জানা গেছে, উপজেলার তাঁরাকুপি গ্রামের মৃত উমেদ আলী শাহর পুত্র ফারুক শাহ গত বছর এনজিও থেকে ঋণ উত্তোলন করে বাড়ির পার্শ্বে ১২ শতক জমির ওপর ৬০ খানা পান বরজ ও পার্শ্বেই একটি পুকুর খনন করে মাছ চাষ শুরু করেন। গত ১০ সেপ্টেম্বর হঠাৎ করে বন্যার পানি বৃদ্ধি হয়ে তার পান বরজ ও পুকুর তলিয়ে যায়। দিশেহারা হয়ে তিনি তার স্ত্রী ও স্কুল পড়–য়া সন্তানদের নিয়ে বাঁধ দিয়ে পান বরজের পানি নিস্কাসনের জন্য ব্যস্ত হয়ে পরেন। অবশেষে অবিরাম বর্ষার কারনে তিনি তার পান বরজ ও পুকুরের মাছ রক্ষা করতে পারেননি। তিনি তার সংসারের একমাত্র আয়ের উৎস হারিয়ে এখন পাগল প্রায়।

কটকস্থল গ্রামের কৃষক আব্দুল হালিম জানান, প্রায় অর্ধলক্ষ টাকা ঋণ উত্তোলন করে তিনি ২’শ ৪০ শতক জমিতে বিআর-১১ ও ৬ ধান রোপন করেছিলেন। ধান বের হওয়ার আগ মুহুর্তে বন্যার পানিতে সব তলিয়ে যায়। একই ভাবে জানালের বাউরগাতি গ্রামের সোহরাব হোসেন, কমলাপুর গ্রামের হাজ্বি আকুব্বর, খাঞ্জাপুর গ্রামের আব্দুল হকসহ অনেকেই।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রতন কুমার মন্ডল জানান, আড়িয়াল খাঁ নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় শাখা নদী পালরদী নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় গৌরনদী উপজেলার বার্থী ও খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ফলে ওইসব এলাকার পান বরজ, মাছের ঘের ও ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। তিনি আরো জানান, পানি বৃদ্ধি পেলে বন্যার পরিস্থিতি আরো অবনতি হবে।