এক মাদ্রাসার সুপারের কান্ড !

বুধবার অষ্টম শ্রেনীর ইংরেজী প্রথমপত্র পরীক্ষারস্থলে আরবি প্রথমপত্র পরীক্ষা নিয়েছেন। ইতিপূর্বে জামায়াতপন্থি ওই মাদ্রাসা সুপার এক ছাত্রীকে উত্যক্ত করার কারনে অপরএকটি মাদ্রাসা থেকেও হয়েছেন চাকুরিচ্যুত। এছাড়াও বহুল আলোচিত এ মাদ্রসা সুপারের বিরুদ্ধে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। অভিযুক্ত এ মাদ্রাসা শিক্ষক হচ্ছেন বরিশালের গৌরনদী উপজেলার হোসনাবাদ মোল্লা মজিবর রহমান দাখিল মাদ্রাসায় সুপার মাওলানা আব্দুল করিম।

সংশ্লিষ্ট ও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক পরিষদের পরীক্ষার রুটিন মোতাবেক গতকাল বুধবার ছিলো অষ্টম শ্রেনীর ইংরেজী প্রথমপত্র পরীক্ষা। কিন্তু সুপার মাওলানা আব্দুল করিম তার নিজের ইচ্ছেমতো ইংরেজী প্রথমপত্র পরীক্ষা নিয়েছেন গত ১০ অক্টোবর। রুটিন মোতাবেক ১০ অক্টোবরের আরবি প্রথমপত্র পরীক্ষা নিয়েছেন গতকাল বুধবার। নামপ্রকাশ না করার শর্তে মাদ্রাসার একাধিক শিক্ষার্থীরা জানান, পূর্ব ঘোষিত রুটিন পরিবর্তন করে পরীক্ষা নেয়ায় তাদের নানা সমস্যায় পড়তে হয়েছে। অপরদিকে মাদ্রাসা শিক্ষক পরিষদের রুটিন মোতাবেক পরীক্ষা হয় পাশ্ববর্তী সরিকল তালিমুল কোরআন ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায়। গতকাল ওই (সরিকল) মাদ্রাসায় ইংরেজী প্রথমপত্র পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। একই রুটিনে পাশাপাশি দুটি মাদ্রাসায় দুই সময় পরীক্ষা হওয়ায় অকপটেই প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যায়। এছাড়াও ওই মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে উপবৃত্তি ও মাদ্রসা উন্নয়ন তহবিলের অর্থ আত্মসাতসহ নানা অনিয়ম ও কদমতলা মহিলা আলিম মাদ্রাসায় কর্মরত থাকাকালীন সময় এক ছাত্রীকে উত্যক্তর ঘটনায় মাওলানা আব্দুল করিম চাকুরিচুত্য হয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

রুটিন পরিবর্তন প্রসঙ্গে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক পরিষদের বরিশাল জেলার সভাপতি মাওলানা মোঃ ছাত্তারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অভিযোগের ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। গৌরনদী উপজেলা শিক্ষক পরিষদের এ্যাসিস্ট্যান্ট মাওলানা শাহাদাত হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমাদের না জানিয়ে তিনি (সুপার) নিজের ইচ্ছেমত পরীক্ষা নিয়েছেন। স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা তাকে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে বললেও তিনি আমাদের সাথে যোগাযোগ না করে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ রেখেছেন। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মাদ্রাসা সুপার মাওলানা আব্দুল করিমের কাছে জানতে চাইলে তিনি উল্লেখিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবির মুখেই রুটিন পরিবর্তন করা হয়েছে।