গৌরনদীতে ছদ্মবেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে নারী পুলিশ

একটি উদ্যোগ নিয়েছেন। থানার গুরুতপূর্ণ স্কুল-কলেজের সম্মুখে ছাত্রীবেশে সুন্দরী নারী-পুলিশ সদস্যরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন ইভটিজার সনাক্ত করতে। তাদের সাথে রয়েছেন সাদাপোষাকের পুরুষ পুলিশ সদস্যরা। ওই নারী পুলিশ সদস্যরা যাকে ইঙ্গিত করে দেখাবে তাকেই সাদা পোষাকের পুরুষ পুলিশ সদস্যরা গ্রেফতার করবেন। গতকাল শনিবার এমনই এক চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন গৌরনদী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ নুরুল ইসলাম-পিপিএম। গত বুধবার থেকে গৌরনদীতে এ বিশেষ অভিযান চলছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। ইতোমধ্যে গৌরনদী উপজেলা সদরের গার্লস হাই স্কুল এন্ড কলেজের সম্মুখ থেকে এ অভিনব কৌশলে উজ্জল নামের এক ইভটিজারকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।

ওসি নুরুল ইসলাম জানান, ইতোমধ্যে গৌরনদীর প্রত্যেকটি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক ও এলাকার সচেতন নাগরিকদের নিয়ে থানা পুলিশের উদ্যোগে ইভটিজিং প্রতিরোধে বিশেষ সভা করা হয়েছে। ওই সভার মাধ্যমে গৌরনদী থানার মোবাইল নাম্বার দেয়া হয়েছে। যেখানে যে ছাত্রীকে ইভটিজাররা উত্যক্ত করবে তাৎক্ষনিক থানা পুলিশকে জানানোর জন্য বলা হয়েছে। তিনি গর্ব করে বলেন, উত্যক্তকারী বখাটে কোন এমপি কিংবা মন্ত্রীর পুত্র হলেও তার সাথে কোন রকম আপোষ নেই। যেখানে ইভটিজিং সেখানেই এক্যাশন। গৌরনদী থানা পুলিশ এ প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। বিধায় গৌরনদীতে এখনো ইভটিজিং মহামারি আকারে ধারন করতে পারেনি। তারপরেও অজানা আতংকে গত বুধবার থেকে ইভটিজার ধরতে ছদ্মবেশী নারী পুলিশ সদস্যদের মাঠে নামানো হয়েছে। ছন্মবেশী নারী পুলিশ সদস্যদের সাথে রয়েছে সাদাপোষাকে পুরুষ পুলিশ সদস্যরা। সুন্দরী নারী পুলিশ সদস্যরা সেজেগুজে ছাত্রীবেশে থানার বিভিন্ন স্কুল-কলেজের সম্মুখে ও গুরুতপূর্ণ এলাকায় ঘোরাফেরা করবেন। তাদের অথবা শিক্ষার্থীদের কোনরকম উত্যক্ত কিংবা টিজ করলেই সাদা পোশাকধারী পুরুষ পুলিশ সদস্যরা বখাটেদের আটক করবে। এ লক্ষে ৪টি অগ্রগামী টিম মাঠে নামনো হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও ওসি নুরুল ইসলাম উল্লেখ করেন।