ওএমএস’র চাল পাচারের ঘটনায় মামলা দায়ের ॥ ডিলার গ্রেফতার

ক্ষমতা আইনে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ শুক্রবার রাতে অভিযুক্ত একজন ডিলারকে গ্রেফতার করেছেন।

সূত্রমতে, আগৈলঝাড়া উপজেলার ৫ জন ওএমএস ডিলার গত শুক্রবার খাদ্য গুদাম থেকে ২০টন চাল উত্তোলন করে। এরমধ্যে কতিপয় ডিলাররা ১০টন চাল টরকী বন্দরের ব্যবসায়ী সুদেব মন্ডলের কাছে বিক্রি করে। শুক্রবার দুপুরে গোডাউন থেকে ৭টি নছিমনযোগে চাল ভর্তি করে টরকী বন্দরে নেয়া হচ্ছিল। পথিমধ্যে গৌরনদী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সম্মুখে পৌঁছলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গৌরনদী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ নুরুল ইসলাম-পিপিএম’র নেতৃত্বে একদল পুলিশ নসিমন ভর্তি ওএমএস’র চাল আটক করে। ওইদিন বিকেলে গৌরনদী থানার ওসি নুরুল ইসলাম ও আগৈলঝাড়া থানার ওসি অশোক কুমার নন্দী ৫ ডিলারের দোকানে ওএমএস’র উত্তোলনকৃত চালের তদন্ত করেন। তদন্তে কতিপয় ডিলারের বিরুদ্ধে চাল পাচারের ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। এ ঘটনায় গৌরনদী থানার এস.আই শাহ জালাল খলিফা বাদি হয়ে ১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫ ধারায় সরকারী চাল কালোবাজারে বিক্রির অপরাধে ডিলার মান্নান বেপারীকে প্রধান এবং আরো অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনকে আসামি করে ওইদিন রাতে একটি মামলা দায়ের করেন (যার নং-১০, তারিখ-০৫-১১-২০১০ইং)। পুলিশ ওইদিন রাতেই মামলার প্রধান আসামি ওএমএস ডিলার মান্নান বেপারীকে গ্রেফতার করেন। গতকাল শনিবার দুপুরে গ্রেফতারকৃতকে বরিশাল আদালতে প্রেরন করা হয়েছে। গৌরনদী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি নুরুল ইসলাম জানান, ৫ ডিলারের মধ্যে অন্যান্যদের তুলনায় গিয়াস উদ্দিন হাওলাদারের দোকানে উত্তোলনকৃত ওএমএস’র চাল বেশি পাওয়া গেছে।