বরিশালে অন্তঃস্বত্তা ভাবী ও মাকে হত্যার দায়ে পুত্রর ফাঁসির রায়

রায় ঘোষনাকালে দন্ডপ্রাপ্ত আসামী ঠিকাদার শামিম আহম্মেদ পলাতক ছিল। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আব্দুস সালাম সিকদার জনাকীর্ন আদালতে এ রায় ঘোষনা করেন। রায় ঘোষনার পর মামলার বাদি নিহত গৃহবধু শিমু আক্তারের বাবা আজিজুর রহমান বলেন, মহামান্য আদালতের রায়ে আমি ও আমার পরিবার খুশি। উচ্চ আদালত যেন এই রায় বলবৎ রাখেন। পাশাপাশি তিনি এ রায় দ্রুত কার্যকর করারও দাবি জানিয়েছেন।

সূত্রমতে, ২০০৯ সালের ২০ এপ্রিল নগরীর দপ্তরখানায় শেখ মোহাম্মদ আলীর পুত্র ঠিকাদার শামিম আহম্মেদের (৩২) সাথে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে তার মা সুফিয়া বেগমের বাকবিতন্ডা হয়। এরজের ধরে ওইদিন রাতে শামীম তার মা সুফিয়া বেগমকে ছুরিকাঘাত তরে হত্যা করে। এ সময় শামীমের ছোট ভাই রিমনের অন্তঃস্বত্তা স্ত্রী শিমু বেগম হত্যাকান্ড দেখে ফেলায় তাকেও কুপিয়ে হত্যা করে শামিম। এ ঘটনার পরেরদিন (২১ এপ্রিল) উজিরপুর উপজেলার মুন্সিরতাল্লুক গ্রামের বাসিন্দা নিহত গৃহবধূ শিমু বেগমের বাবা আজিজুর রহমান বাদি হয়ে কোতোয়ালী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়ের দিন রাতেই আসামি শামিম আহম্মেদকে পুলিশ গ্রেফতার করেন। কয়েক মাস পূর্বে হাইকোর্ট থেকে শামিম আহম্মেদ জামিনে বের হয়। বর্তমানে সে পলাতক রয়েছে।

বরিশাল কোতোয়ালী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক শামিম শেখ হত্যাকারী শামীমকে অভিযুক্ত করে গত বছরের ১০ আগষ্ট আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। এরপর মামলার ২৩ জন স্বাক্ষীর মধ্যে ১৮ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহন শেষে বুধবার আদালত এ রায় প্রদান করে।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট গিয়াস উদ্দীন কাবুল। আসামীপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এডভোকেট এনায়েত পীর খান।