কলেজ ছাত্রীকে উত্যক্তর ঘটনায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা – গলায় জুতার মালা দিয়ে এলাকা ঘোরানো

রাতে গ্রাম্য সালিশ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠকে অভিযুক্ত বখাটে শাহিন মৃধাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও জুতার মালা পড়িয়ে এলাকা ঘোরানো হয়েছে। এছাড়াও আগামি ২০ দিনের মধ্যে বখাটে ও তার পরিবারকে এলাকা থেকে বিতাড়িত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কিন্তু রহস্যজনক কারনে জরিমানার টাকা কলেজ তহবিলে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়ায় এলাকায় নানা গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে।


সালিশ বৈঠক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই কলেজের একাদশ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে দীর্ঘদিন থেকে নানাধরনের উত্যক্ত করে আসছিলো পাশ্ববর্তী আমবৌলা গ্রামের দেলোয়ার হোসেন ওরফে দীলিপ মৃধার বখাটে পুত্র শাহিন মৃধা। তারই ধারাবাহিকতায় গত ১১ নবেম্বর কলেজ ছুটির পর ওই ছাত্রী বাড়ি ফেরার পথে আমবৌলা স্লুইজগেটের কাছে পৌঁছলে বখাটে শাহিন মৃধা অসামাজিক কার্যকলাপের জন্য ওই ছাত্রীকে টানাহেচরা করে নিরর্জন স্থানে নেয়ার চেষ্টা চালায়। এসময় ওই ছাত্রী ডাকচিৎকার শুরু করলে বখাটে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই কলেজ ছাত্রী ও তার অভিভাবকেরা কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে বিচার দাবি করায় গত বুধবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে কলেজ মিলনায়তনে সালিশ বৈঠকের আয়োজন করা হয়।


কলেজ গবনিং বডির সভাপতি আব্দুল হামিদ খানের সভাপতিত্বে সালিশ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতা মকবুল ভাট্টি, আইউব আলী মিয়া, আবুল বাশার হাওলাদার, এ.আর ফারুক বখতিয়ার, ফিরোজ সিকদার, বিএনপি নেতা ফিরোজ রহমান লালু। বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে বখাটে শাহিন মৃধার ৫০ হাজার টাকা জরিমানাসহ জুতার মালা পড়িয়ে ওই এলাকা ঘোরানো হয়। এছাড়াও আগামী ২০দিনের মধ্যে অভিযুক্ত বখাটে শাহিন ও তার পরিবারকে এলাকা ত্যাগ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নামপ্রকাশ না করার শর্তে সালিশ বৈঠকে উপস্থিত একাধিক ব্যক্তি জানান, রহস্যজনক কারনে সালিশ বৈঠকের জরিমানার ৫০ হাজার টাকা ওই ছাত্রী ও তার পরিবারকে না দিয়ে বাগধা কলেজের তহবিলে রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে। সূত্রমতে, একটি প্রভাবশালী মহল কৌশলে ওই জরিমানার ৫০ হাজার টাকা আত্মসাত করার জন্যই কলেজ তহবিলে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।


এ ব্যাপারে আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপংকর বিশ্বাসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আদালত ছাড়া কোন সালিশ বৈঠকে জরিমানা করার বিধান নেই। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে জরিমানা করা হলে তা ভুক্তভোগী ব্যক্তিকেই দিতে হবে।