হরতালের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের বাংলার জনগন রাজপথে প্রতিহত করবে-এড. ইউনুস

একটি বাড়ি ও দুইটি পুত্রর ইস্যু নিয়ে বিএনপির ডাকা হরতাল স্বাধীন বাংলার জনগন কোনদিনই মেনে নেবেন না। যে ভাবে ১৯৭১ সালে যুদ্ধাপরাধী, আল-বদর, রাজাকার ও পাক সেনাদের প্রতিহত করা হয়েছিলো, সেভাবেই ইস্যুবিহিন হরতাল প্রতিহত করা হবে। আওয়ামীলীগকে হুমকি দিয়ে লাভ নেই। যে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হরতাল ডেকেছেন সেই রাষ্ট্রে থাকার কোন অধিকার আপনাদের নেই। বিএনপির ৩০ নবেম্বরের ডাকা ইস্যুবিহিন হরতালের জবাব দিয়ে ও বিএনপির উদ্দেশ্যে কঠোর হুশিয়ারী উচ্চারন করে কথাগুলো বলেছেন বরিশাল-১ আসনের সংসদ সদস্য, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, বরিশাল বারের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট তালুকদার মোঃ ইউনুস।


গতকাল শুক্রবার বিকেলে সরকারি গৌরনদী কলেজ ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক সফিকুর রহমান বুলেটের নবম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে উপজেলা, পৌর ও কলেজ ছাত্রলীগের উদ্যোগে শোক সভা ও দোয়া-মিলাদ অনুষ্ঠিত হয়। গৌরনদী বাসষ্ট্যান্ডস্থ ছাত্রলীগের দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত শোক সভায় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ মাহবুব আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন এডভোকেট তালুকদার মোঃ ইউনুস-এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন কুয়েত শাখা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি কালিয়া দমন গুহ, আওয়ামীলীগ নেতা আকবর হোসেন ফারুক, এইচ.এম জয়নাল আবেদীন, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মোঃ হারিছুর রহমান হারিছ। বক্তব্য রাখেন নিহত ছাত্রলীগ নেতার পিতা রহমতউল্লাহ খলিফা, যুবলীগ নেতা রেজাউল করিম টিটু, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক নয়ন শরীফ, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম মিয়া, সাধারন সম্পাদক ও নিহত বুলেটের সহদর মাসুম বিল্লাহ মানিক, কলেজ ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক জুবায়েরুল ইসলাম সান্টু ভূইয়া, সহসভাপতি লুৎফর রহমান দ্বিপ, মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ। শেষে দোয়া-মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।


উল্লেখ্য, ২০০১ সালের ২০ নবেম্বর বিএনপি ও জামায়াতের চারদলীয় জোট সরকারের স্থানীয় চিহিৃত ক্যাডাররা প্রকাশ্যে দিবালোকে ছাত্রলীগ নেতা বুলেটকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ৬দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে ২৬ নবেম্বর ছাত্রলীগ নেতা বুলেট মৃত্যুবরন করেন।