দ্বিতীয় দফায় জাপান ঋণ সহয়তা বাড়ালো ১০০ মিলিয়ন ডলার

জাপানের প্রধানমন্ত্রী নাওতো কানের সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শীর্ষ বৈঠক-পরবর্তী ১৯ দফা যৌথ বিবৃতিতে অতিরিক্ত এ ঋণ দেওয়ার অঙ্গীকারের কথা উল্লেখ করে।


অতিরিক্ত ১০ কোটি ডলারের ঋণের প্রতিশ্রুতির ফলে ২৯০ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয়সাপেক্ষে পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পে জাপানের সহায়তার পরিমাণ দাঁড়াবে ৪০ কোটি ডলার। এর আগে টোকিও এ প্রকল্পে ৩০ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার অঙ্গীকার করেছিল।


দুই প্রধানমন্ত্রী দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন, বহু প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দেশের পূর্ব ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।


প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ জানান, দুই প্রধানমন্ত্রী টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও এমডিজির সাফল্য অর্জনে সামাজিক কাঠামো এবং মানবসম্পদ উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দেন।
আজাদ জানান, উভয় নেতা শেখ হাসিনার জাপান সফরকে অত্যন্ত ফলপ্রসূ বলে অভিহিত করেন। বৈঠককালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নয়নে জাপানের অবদানের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান। জাপানি প্রধানমন্ত্রীও শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।


শেখ হাসিনা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতসহ বিশেষ করে বড় ধরনের সেতু, রাস্তাঘাট, রেলওয়ে ও বিদ্যুকেন্দ্রের মতো গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো নির্মাণ এবং বিদ্যুত্ বিতরণ-ব্যবস্থায় সহায়তার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
আজাদ বলেন, নাওতো কান শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ‘ভাই-বোনের’ বর্ণনা করে বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর টোকিও সফরের ফলে এই সম্পর্ক আরও গাঢ় হলো।’ কান বলেন, তাঁর দেশ বাংলাদেশের উন্নয়নে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।


নাওতো বিশেষ করে জলবায়ু ইস্যুতে বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিবেশ অত্যন্ত ভালো হওয়ায় ঢাকা আরও বেশি জাপানি বিনিয়োগ চাইতে পারে।
যৌথ ঘোষণায় বাংলাদেশ ও জাপান পুনর্ব্যক্ত করে, দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি ও সমৃদ্ধি সারা এশিয়া ও বিশ্বের শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।


জাপানের প্রধানমন্ত্রী নাওতো কান দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক) গঠনে বাংলাদেশের উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং এই অঞ্চলের আঞ্চলিক সহযোগিতা উন্নয়নে তাঁর সমর্থনের অঙ্গীকার করেন