উজিরপুরের নদীভাঙ্গন রক্ষা প্রকল্প ফাইলবন্দী

গফিলতির কারনে সন্ধ্যা নদীর ভাঙ্গনের কারনে বরিশালের উজিরপুর-সাতলা সড়কের চথলবাড়ীর সাকরাল গ্রামের অধিকাংশ এলাকা বিলীন হয়ে গেছে। এ পর্যন্ত প্রায় ২০০টি পরিবার ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে মানবেতন জীবন যাপন করছেন। ব্লক স্থাপনের জন্য অর্থ বরাদ্দ হলেও তাদিয়ে দ্রুত কাজ শুরু করার ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের কোন মাথা ব্যাথা নেই। ফলে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে উপজেলার সাথে ৫টি ইউনিয়নের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা। নদীর মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে সাম্প্রতিক সময়ে নির্মিত প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত একটি কালভাট।

২০০৬ সালে ভাঙ্গন শুরু দিকে ব্যবস্থা গ্রহন করলে রক্ষা পেত গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা সমুহ। এখন একটি প্রাইমারী স্কুল, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সমবায় ব্যাংক, উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র রক্ষা করা জরুরী হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন সময়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা পরিদর্শন করে ব্লক স্থাপনের কথা বললেও আজো তা বাস্তবায়িত হয়নি।

চলিত বছরের অক্টোবর মাসে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহাবুবুর রহমান তালুকদার-এমপি, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ গুলজার হোসেন, নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ হারুনর রশীদ, উপ-সহকারী প্রকৌশলী আঃ কাদেরকে স্থানীয় সংসদ সদস্য সৈয়দ মনিরুল ইসলাম মনি নিজ উদ্যোগে ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করিয়েও কোন সুফল পাননি। মন্ত্রী এলাকার জনসাধারনকে আশ্বস্থ করেছিলেন অতি শীঘ্রই ব্লক স্থাপন করে ভাঙ্গন রক্ষা করা হবে। এজন্য ৯ কোটি ৪৪ লক্ষ টাকার প্রকল্প তেরী করা হয়েছিলো। মন্ত্রীর এ বক্তব্যের ৩ মাস অতিবাহিত হলেও আজো তা বাস্তবায়িত হয়নি।

এদিকে ভাঙ্গন আগের চেয়ে আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। সংসদ সদস্য প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন। এত বিলম্বের কারন সম্পর্কে সাংসদ মনির কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, বরিশালের পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীর গাফিলতির কারনে প্রকল্পের অর্থ বরাদ্দে দেরি হচ্ছে। তিনি সঠিক সময়ে কাগজপত্র মন্ত্রনালয়ে পাঠাননি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যাপারটি গুরুত্বের সাথে দেখে অত্র অঞ্চলের জনগণের প্রাণের দাবি ভাঙন কবলিত এলাকার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা করে ভিটেহারা মানুষদের রক্ষা করবেন বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এদিকে গুঞ্জন উঠেছে স্কুল-মাদ্রাসা, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ব্যাংক, বাজার, রাস্তা রক্ষা না করে ধামুড়ায় ২কোটি টাকা ব্যয়ে মোটা অংকের ঘুষের বিনিময়ে খাল রক্ষায় মেতে উঠেছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তারা। অথচ জনগুরুতপূর্ণ সাকরালের ভাঙন কবলিত এলাকা রক্ষায় তারা উদাসিন। এ ব্যাপারে বরিশালের পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীর সাথে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোরে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তিনি ফোন রিফিস করেননি।