ভোটাররা চায় নতুন মুখ ॥ প্রার্থীরা ডিজিটাল পদ্ধতিতে চালাচ্ছেন গণসংযোগ

পৌর মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েই ডিজিটাল পদ্ধতিতে গণসংযোগ শুরু করেছেন। আগের নির্বাচনের মতো নেই কোন মিছিল-মিটিং কিংবা মাইকের কান ঝাঁঝাঁলো প্রচারনা। এমনকি প্রার্থীদের সাথেও নেই কোন মোটরসাইকেলের বহর কিংবা সমর্থক ভোটারদের আপ্যায়নের ব্যবস্থা। পুরো এলাকা ঘুরে কোথাও কোন নির্বাচনের বারতি আমেজ পরিলক্ষিত হয়নি। দেশ স্বাধীনের পর কেবল এবছরের ব্যতিক্রম এ নির্বাচন আয়োজনে সাধারন ভোটাররা সাধুবাদ জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনকে।

পৌরসভার মেয়র পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন আওয়ামীলীগ সমর্থিত ও মহাজোট মনোনীত প্রার্থী মোঃ হারিছুর রহমান হারিছ, বিএনপি সমর্থিত চারদলীয় জোটের প্রার্থী ও পৌর মেয়র নুরুল ইসলাম নুর আলম হাওলাদার ও স্বতন্ত্রপ্রার্থী গোলাম মনির মিয়া। মনোনয়নপত্র যাছাই বাছাইয়ে তিনজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্রই বৈধ বলে ঘোষনা করা হয়েছিলো। এরইমধ্যে গত ২১ ডিসেম্বর স্বতন্ত্রপ্রার্থী গোলাম মনির মিয়া তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। সেমতে এখন মেয়র প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন জোট ও মহাজোটের দুইজন। মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর থেকেই নির্বাচনী মাঠ দাঁপড়িয়ে বেড়াচ্ছেন মহাজোটের প্রার্থী হারিছ। ইতোমধ্যে তিনি পৌর এলাকার প্রায় প্রতিটি এলাকায় গণসংযোগসহ উঠান বৈঠন সম্পন্ন করেছেন। পৌর মেয়র পদপ্রার্থী হিসেবে তরুন উদিয়মান সমাজসেবক হারিছের গ্রহনযোগ্যতাও রয়েছে লক্ষনীয়। সাধারন ভোটাররাও নতুন মুখ হিসেবে হারিছকেই সমর্থন দিয়েছেন। তবে এখনো মাঠে নামেননি চারদলীয় জোটের প্রার্থী ও পৌর মেয়র নুরুল ইসলাম নুর আলম হাওলাদার। সূত্রে জানা গেছে, তিনি ও তার দলের কেন্দ্রীয় নেতারা ডিজিটাল পদ্ধতিতে (মোবাইল ফোনের মাধ্যমে) তাদের কর্মী সমর্থকদের সাথে যোগাযোগ ও গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন।

নুর আলম হাওলাদার বলেন, মাঠে নামার পূর্বেই আমার মোবাইল ফোনে ম্যাসেজ পাঠিয়ে আমাকে নির্বাচনের আগে হত্যা করার হুমকি দেয়া হয়েছে। তাই বর্তমানে আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। তবে আগামি ২৮ ডিসেম্বর থেকে তিনি গণসংযোগে মাঠে নামবেন বলেও দলের বিশ্বস্ত একটি সূত্র জানিয়েছেন। এদিকে নামপ্রকাশ না করার শর্তে পৌর এলাকার এক ভোটার বলেন, মোবাইল ফোনে ম্যাসেজ দিয়ে হত্যার হুমকির ঘটনাটি নিছক নির্বাচনের একটি কুট কৌশল হতে পারে। বর্তমানে উভয় প্রার্থীই গণসংযোগের পাশাপাশি কর্মী সংগ্রহের কাজে ব্যস্ত রয়েছেন। প্রার্থীরা বিভিন্ন ছোট ছোট পেশাজীবী ও শ্রমিক সংগঠনের সমর্থন লাভের জন্য ওইসব সংগঠনের নেতাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। মেয়র প্রার্থী ছাড়াও পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রার্থী রয়েছেন ৫৩ জন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন ১২জন প্রার্থী।

পৌর এলাকার সাধারন ভোটারদের সাথে আলাপকালে জানা গেছে, বিগত দিনে পৌর শহর থেকে ওয়ার্ড পর্যায়ে কাঙ্খিত উন্নয়ন না হওয়ায় এবার তারা পরিবর্তনের পক্ষে রায় দেয়ার নিতীগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।