কোটি টাকার ফেরী ও পল্টুন নষ্ট হচ্ছে

কোটি কোটি টাকার ফেরী ও  পল্টুন অযত্ন ও অবহেলায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। একটি সংঘবদ্ধ দল ফেরী ও পল্টুনের মালামাল রাতের আধারে  চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে বলে এলাকাবাসীর পক্ষে গত ১৫ ডিসেম্বর যোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের সচিব বরাবরে পয়সারহাট গ্রামের সোবাহান খন্দকার একটি লিখিত অভিযোগ করে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব Feri Againjharaমোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন গত ৩০ ডিসেম্বর সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীকে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ প্রদান করেন। লিখিত অভিযোগ, স্থানীয় ও সওজ সূত্রে জানাগেছে, বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার পয়সারহাট ও গোপালগঞ্জ জেলার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য পয়সারহাট নদীতে  ফেরী চলাচল শুরু করে। তবে পয়সারহাট নদীর উপর  ১৯৯৮ সালে  ব্রীজ নির্মান শুরু হওয়ায় আগেই ফেরী চলাচল বন্ধ রয়েছে। ১৯৯৮ সালের বন্যায় পয়সারহাট পশ্চিম পাড়ের পল্টুনটি বন্যায় ভেসে যায়। পূর্ব পাড়ের পল্টুনটি স্থানীয় জনগণ একটি গাছের সাথে রেখেছিল। ফেরী চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় একটি ফেরী ও একটি পল্টুন নদীর পার্শ্বের একটি ডোবায় অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে। যা ইতোমধ্যেই অর্ধেকের বেশী  মরিচা ধরে নষ্ট হয়ে গেছে। এই সুযোগে স্থানীয় সংঘবদ্ধ চোরের দল কোটি টাকার ফেরীর মালামাল রাতের আধারে চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। সন্ধ্যার পরে ফেরীটিতে বসে বখাটেদের জমজমাট মাদকের আড্ডা। সন্ধ্যার পরে ওই এলাকা দিয়ে কোন সাধারণ জনগণ চলাচল করতে পারে না। সওজের উদাসীনতা ও দায়িত্বহীনতার কারনে সরকারের কোটি কোটি টাকার সস্পদ নষ্ট হলেও তা উদ্ধারের চেষ্টা নেই। সূত্রমতে, ফেরীর ৪ জন  কর্মকর্তা কর্মচারীদের বরিশালে স্থানান্তর করার পর বছরের পর বছর বসিয়ে বসিয়ে বেতন দিচ্ছে সওজ কর্তৃপক্ষ।

পয়সারহাট গ্রামের সোবাহান খন্দকার এলাকাবাসীর পক্ষে গত ১৫ ডিসেম্বর যোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের সচিব বরাবরে ফেরীর মালামাল চুরি  অভিযোগে আরো উল্লেখ রয়েছে, স্থানীয় বালু ব্যাবসায়ী আবুল সিকদারের একটি সংঘবদ্ধ চক্র এই ফেরীটির মালামাল রাতের আধারে চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে।  বালু ব্যবসার জন্য  বালু উত্তোলন করে ফেরীটির অর্ধেক  ঢেকে রেখেছে। ওই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন গত ৩০ ডিসেম্বর ঢাকা সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীকে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ প্রদান করেন। সওজের দায়িত্বশীল সূত্রে জানাগেছে, সম্প্রতি ফেরীর মালামাল অকেজো হওয়ায় তা নিলামে বিক্রির জন্য ঢাকা সড়ক ও জনপথ বিভাগে কাগজপত্র প্রেরণ করা হয়েছে।