কমিশনের সম্মুখে বোমা ফাঁটালেন কালা বউ

উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের ইউপি সদস্যা ও আওয়ামীলীগ কর্মী রেনুকা অধিকারী ওরফে কালাবউ কমিশনের সম্মুখে বর্ননা করেন ২০০১ সালের ১ অক্টোবর নির্বাচনের পর (৪ অক্টোবর) বিকেলে বিএনপির চিহিৃত তিন সন্ত্রাসী উপজেলার জোবারপাড় নামকস্থানে বসে প্রথমে তাকে শারিরিক নির্যাতন করে। পরবর্তীতে ওই নরপশুরা তার ওপর চালায় পার্শ্ববিক নির্যাতন। এর কয়েকদিন পর তার শরীরে এসিড নিক্ষেপ করে ওই সন্ত্রাসীরা। সেইদিনের কথা বর্ননা করতে গিয়ে কমিশনের সম্মুখে কান্নায় ভেঙ্গে পরেন রেনুকা অধিকারী ওরফে কালাবউ।

একইভাবে বিএনপি-জামায়াত ক্যাডারদের নির্মম নির্যাতনের ঘটনা কমিশনের সম্মুখে বর্ননা করেন তৎকালীন রাজিহার ইউনিয়নের ইউপি সদস্যা, বর্তমান আগৈলঝাড়া উপজেলা পরিষদের ভাইসচেয়ারম্যান শেফালী রানী সরকার, রাজিহার ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্যা কমলা রানী রায়, বাগধা ইউনিয়নের ইউপি সদস্যা ও মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রী পিয়ারা বেগম, ভাইসচেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা জসিম সরদার, আওয়ামীলীগ কর্মী রবি হালদারসহ আওয়ামীলীগ সমর্থক ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রায় তিন শতাধিক নির্যাতিতরা।

একইদিন সকালে তদন্ত কমিশনের নেতৃবৃন্দ গৌরনদী উপজেলা পরিষদ ডাকবাংলোতে বসে গৌরনদীর নির্যাতিত দু’শতাধিক আওয়ামীলীগ সমর্থক ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনের নির্যাতনের বর্ননা শোনেন। পরবর্তীতে তারা আলোচিত কয়েকটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

গৌরনদী উপজেলার আওয়ামীলীগ সমর্থক ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকাংশ নির্যাতিত ব্যক্তিরা কমিশনের সম্মুখে উল্লেখ করেন, তাদের ওপর হামলাকারী বিএনপির অধিকাংশ চিহিৃত সন্ত্রাসীদের সাথে বর্তমান স্থানীয় সরকারি দলের সংসদ সদস্য ও উপজেলা চেয়ারম্যানের গভীর সখ্যতা রয়েছে। এমনকি তাদের গাড়ি বহরেও ওইসব সন্ত্রাসীরা ঘোরাফেরা করে। এমতাবস্থায় ওইসব সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে কোন সুফল হবে কিনা এ নিয়েও তারা নানা প্রশ্ন তোলেন।

২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর বিএনপি ও জামায়াত ক্যাডারদের হাতে নির্যাতনের শিকার গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া উপজেলার আওয়ামীলীগ সমর্থক ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নির্যাতিতদের কাছ থেকে নির্যাতনের বর্ননা শোনেন তদন্ত কমিশনের পরিচালক সাবেক দায়রা জজ মোঃ শাহাবুদ্দিন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের উপ-সচিব মনোয়ার হোসেন আখন্দ ও সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি মীর শহিদুল ইসলাম।