আগৈলঝাড়ায় ঝুঁকির মধ্যে জরাজীর্ণ ভবনে চলছে থানার দৈনন্দিন কার্যক্রম

থানার দৈনন্দিন কার্যক্রম ।
পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা জীবনের ঝুকি নিয়ে চরম আতংকের মধ্যে অফিসের কাজ সহ আবাসিক ভবনে বসবাস করছে। সামান্য বৃষ্টিতেই অফিসের কাগজপত্র ভেজা সহ স্বাভাবিক কাজ কর্মে চরম বিঘœ ঘটছে। ঘুমের মধ্যে বৃষ্টির পানি গায়ে পড়ে আৎকে ওঠে ব্যারাকে থাকা পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা। বর্ষাকাল থানা পুলিশের জন্য চরম আতংকের একটি সময়। থানার এমন কোন রুম নেই যে, সেখানে পানি পড়ছেনা বা প¬াষ্টার ধ্বসে পড়ছেনা। প্লাষ্টার ধ্বসে একাধিক পুলিশ সদস্য আহত হবার ঘটনাও ঘটে মাঝেমধ্যেই। থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অশোক কুমার নন্দী সাংবাদিকদের নিয়ে থানা কম্পাউন্ডের প্রশাসনিক ভবনের বিভিন্ন কক্ষ এবং আবাসিক ভবন ঘুরে দেখানোর সময় দেখা গেছে,অস্ত্রাগারের ছাদ ধ্বসে পড়ছে রুমের সব জায়গায়, সাথে রয়েছে বৃষ্টির পানি পড়া। মালখানায় পানি পড়ে নষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে বিচারাধীন মামলার গুরুত্বপূর্ন আলামত। ব্যারাক সদস্যদের রান্না করার কক্ষটি অনেক আগে থেকেই ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে পরিত্যাক্ত অবস্থায় রয়েছে। সারাদিন ডিউটি শেষে রাতে ঘুমাতে গেলে আতকে ওঠে পুলিশ সদস্যরা বৃষ্টির পানি গায়ে পড়ে, বৃষ্টি নামলে বাকি রাত কাটাতে হয় নির্ঘুম বসে। তাছাড়া প¬¬াষ্টার ধ্বসে গায়ে পরে আহত হবার আতংক রয়েছে সবসময়। বাদ পরেনি এসকল সমস্যা থেকে স্বয়ং ওসি অশোক কুমার নন্দির কক্ষটিও। বৃষ্টির সময় কক্ষটিতে বসার কোন উপায় নেই পানি পরার কারনে। অফিস কক্ষে কাজ করার জন্য নিজ উদ্দ্যোগে ছাদ মেরামত করলেও তাতে বন্ধ হয়নি পানি পড়া। পুলিশ ইন্সেপেক্টরদের জন্য নির্মিত আবাসিক ভবনের অবস্থা আরও খারাপ। পরিবার সদস্যদের নিয়ে প্রতি মুহুর্তে জীবন মৃত্যুর সাথে যুদ্ধ করে আতংকের মধ্যে থাকতে হচ্ছে ইন্সেপেক্টরদের। পানি পড়ে ভবনের অবস্থা এতই খারাপ যে, স্যাৎসেতে ভবনটি যেকোন সময় ধ্বসে পড়তে পারে। স্যাৎসেতের কারণে বিভিন্ন রোগ জীবানুর আক্রমনে সংক্রমিত হচ্ছে পরিবারের ছোট বাচ্চারা। ইচ্ছা ও সামর্থ থাকলে তাৎক্ষনিক ডিউটির কারণে কম্পাউন্ডের বাইরে থাকতে পারছেনা ইন্সেপেক্টররা। বাধ্য হয়ে জরাজীর্ণ ভবনে তাদের বসবাস করতে হচ্ছে। ওসি মি. অশোক নন্দী জানান, ৮৪ সালে থানা ভবন নির্মান করা হয়।এরপ দু’একবার সংস্কার হয়েছে মাত্র। জেলা পুলিশ প্রশাসন আবাসিক ভবন সংস্কারের জন্য ৯৮ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছিলেন। তা দিয়ে আবাসিক ভবনের জানালার গ¬¬াস,দরজা মেরামত,মটার ও ট্যাংকি ক্রয় ও ছাদ মেরামত করা হয়েছে, তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই সামান্য। তিনি আরও জানান, পুলিশ সুপারের মাধ্যমে আইজিপি’র কাছে সংস্কারের জন্য কয়েক দফা চিঠি দিয়ে জানালেও কোন বরাদ্দ না আসায় মানুষের সকল মৌলিক অধিকার বঞ্চিত হয়ে পুলিশ প্রশাসন বাধ্য হচ্ছে প্রশাসনিক কাজ করা সহ এখানে বসবাস করতে।