আসামির বিয়ে তাই হাজত থেকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ!

তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা, আবার থানায় এনে রফাদফার পর ছেড়েও দিলেন তিনি। সিদ্ধ হস্তে কাজটি করেছেন আগৈলঝাড়া থানার পিএসআই আলমগীর হোসেন।

পুলিশের একটি দ্বায়ীত্বশীল সূত্র ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার পয়সারহাট গ্রামের যোগেশ হালদারের স্ত্রী যুথিকা রানী হালদার ওরফে টগরী বরিশাল আদালতে ৯ জনকে আসামী করে হামলা, ভাংচুর লুটপাটের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-৬/১১। থানার মামলা নং-৫। ওই মামলায় বিজ্ঞ আদালতে ৭ আসামী হাজির হলে  ৬ জনকে জামিন দিলেও ১ জনের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে অপর ২ আসামীর মধ্যে এজাহারভুক্ত ৯ নং আসামী পয়সা গ্রামের খোকন হালদারের ছেলে পাপন হালদারকে নিজ বাড়ি থেকে পিএসআই আলমগীর গ্রেফতার করে অন্য আসামীদের সাথে থানা হাজতে আটক রাখে পাপনকে। গতকাল শুক্রবার পাপনের পুর্ব নির্ধারিত বিয়ের তারিখ ছিল। তাই রফাদফা করে শুক্রবারই তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। আসামী ধরা ও ছাড়ার ব্যাপারে পিএসআই আলমগীরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি ওসির কাছ থেকে জানতে বলে ফোন কেটে দেন। থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শ্রী অশোক কুমার নন্দী বলেন, উর্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে তাকে ছাড়া হয়েছে। কারন, হিন্দু মেয়ে, লগ্নভ্রষ্ট হয়ে কোন দুর্ঘটনা ঘটালে তার দ্বায় দ্বায়ীত্ব কে নেবে?

আগৈলঝাড়ায় সংঘর্ষে ইউপি সদস্য ও মহিলাসহ ১৩ জন আহত
আগৈলঝাড়া প্রতিনিধিঃ আগৈলঝাড়ায় মসজিদের পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় ইউপি সদস্য ও মহিলা সহ ১৩ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহতদের ঢাকা, বরিশাল ও স্থানীয়  গৈলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।

জানাগেছে, উপজেলার উত্তর পতিহার গ্রামে বাইতুল আমান জামে মসজিদের সঞ্চিত অর্থ স্থানীয় দুলাল খলিফার কাছে জমা ছিল। ওই অর্থ গত বৃহস্পতিবার বিকেলে মসজিদ উন্নয়ন কাজের জন্য কমিটির সদস্য জামাল সরদার চাইতে গেলে দুলাল ও জামালের মধ্যে বাক বিকন্ডা হয়। এক পর্যায়ে জামালের লোকজনের উপর হামলা চালায় দুলালের লোকজন। হামলায় সাবেক ইউপি সদস্য জামাল সরদার, এমদাদ সরদার, ইউসুফ সরদার, দুলাল সরদার, কবির হোসেন সরদার ,জাকির, আবু তালেব,হালিম, আলমগীর, ফিরোজা বেগম সহ ১২ জন আহত হয়। অপরদিকে পূর্ব শত্র“তার জের ধরে টেমার গ্রামের সখানাথ সিমলাইর ছেলে উত্তম সিমলাইকে রাতের আধাঁরে অনিক সেরনিয়াবাতের নেতৃত্বে ৩/৪ জনের দল হামলা করে আহত করে হাত ভেঙ্গে দেয়। উত্তমকে ঢাকার পঙ্গুতে, এমদাদকে বরিশাল ও জামাল,  ইউসুফ, দুলালকে গৈলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উভয় ঘটনায় থানায় পৃথক লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।