দিনমজুর রহিমের আর্তি “মোর পৈত্রিক সম্পত্তি ফিরত আনি দাও”

জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে ধর্ণা দিয়ে দিনমজুর রহিম হাওলাদার (৪০) হয়েছে ব্যর্থ। প্রতিপক্ষ প্রভাবশালীদের ভয়ে এলাকার কেহই মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না। উল্টো প্রতিপক্ষের লোকজনে মামলা দায়ের করা হলে রহিম ও তার স্ব-পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে। তাদের অব্যাহত হুমকির মুখে দিনমজুর রহিম পরিবার পরিজন নিয়ে রয়েছেন চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে। এ অবস্থায় পৈত্রিক সম্পত্তি ফিরে পেতে দিনমজুর আব্দুর রহিম প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

বুধবার বিকেলে বরিশালের গৌরনদী প্রেসক্লাবে হাজির হয়ে বাবুগঞ্জের আগরপুর গ্রামের মৃত বেলায়েত হাওলাদারের পুত্র দিনমজুর আব্দুর রহিম হাওলাদার অভিযোগ করেন, আগরপুর মৌজার বিভিন্ন দাগে তার পিতার রেখে যাওয়া ৪৬ শতক জমির ওপর দীর্ঘদিন থেকে লোলুপ দৃষ্টি পরে একই গ্রামের প্রভাবশালী হান্নান হাওলাদার, কবির উদ্দিন, গোলাম মস্তফা ও ফরিদ উদ্দিনের। বিভিন্ন সময় তারা জাল দলিলের মাধ্যমে রহিমের পৈত্রিক সম্পত্তির মালিকানা দাবি করে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আংশিক সম্পত্তি দখল করে নেয়। এরইমধ্যে ৩০ ধারার মাঠ জড়িপে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে জরিপ অফিসার মাখন লাল দিনমজুর রহিমের পৈত্রিক সম্পত্তি তার প্রতিপক্ষের নামে রেকর্ড করে দেয়। এ খবর জানতে পেরে দিনমজুর রহিম হাওলাদার, পূর্ণতদন্তের জন্য ভূমি অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে মহাপরিচালক তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বরিশালের জোনাল অফিসারকে নির্দেশ প্রদান করেন। নির্দেশ পেয়ে জোনাল অফিসার ৩১ ধারার আপিল বিভাগের বরিশাল সদরের অফিসার মোয়াজ্জেম হোসেন দায়িত্ব প্রদান করেন।

অভিযোগে আরো জানা গেছে, গত ২৩ জুন মোয়াজ্জেম হোসেন তদন্ত এসে মোটা অংকের টাকার উৎকোচের বিনিময়ে শুধুমাত্র দখলে থাকায় ৩০ ধারার রায় বহাল রাখেন। এতে হতাশাগ্রস্থ হয়ে পরেন দিনমজুর রহিম। পূর্ণরায় মামলার পূর্ণবিচারের আশায় তিনি বরিশাল সেটেলমেন্ট অফিসের জোনাল অফিসারের কাছে আবেদন করেন। এ খবর শুনে প্রতিপক্ষের প্রভাবশালীরা দিনমজুর রহিমকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতিসহ তার স্ব-পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে। তাদের অব্যাহত হুমকির মুখে দিনমজুর রহিম পরিবার পরিজন নিয়ে রয়েছেন চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে।

ভয়ভীতি ও রহিম হাওলাদারের স্ব-পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ অস্বীকার করে প্রভাবশালী হান্নান হাওলাদার, কবির উদ্দিন, গোলাম মস্তফা ও ফরিদ উদ্দিন বলেন, জালজালিয়াতির মাধ্যমে নয়, ক্রয় সূত্রে আমরা উল্লেখিত সম্পত্তির মালিক হয়েছি।