বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে মেয়েরা এগিয়ে

পাসের হার ৭১ দশমিক ১২ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩১০জন। মোট  ৩৬ হাজার ৩৭৫জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৩৫ হাজার ৮০৩ জন অংশ গ্রহন করে। এর মধ্যে পাস করেছে ২৫ হাজার ৪৬৪ পরীক্ষার্থী। এ বোর্ডে পাসের হারে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এগিয়ে। আজ মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১১ টায় বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর দেলোয়ার হোসেন হাওলাদার বোর্ডের সভা কক্ষে এ ফলাফল প্রকাশ করেন।এবারের ফলাফলে বিগত বছরগুলোর তুলনায় খারাপ করেছে বরিশাল শিক্ষাবোর্ড। তবে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সাংবাদিকদের বলেন ফলাফল ভাল হয়েছে।

শিক্ষা বোর্ড সূত্রমতে.বিজ্ঞান বিভাগে ৪ হাজার ২৬৯ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৪ হাজার ১৯৫ পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহন করে। এর মধ্যে পাস করেছে ২ হাজার ৯৪১ জন। বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫০০ জন। মানবিক বিভাগে ২০ হাজার ৯৪২ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২০ হাজার ৬০৬ জন অংশ গ্রহন করে।এর মধ্যে উত্তীর্ন হয়েছে  ১৩ হাজার ৩৭৩ জন। মানবিক বিভাগে জিপিএ -৫ পেয়েছে ২৬৪ জন। বানিজ্য বিভাগে ১১ হাজার ১২৪ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১১ হাজার ২ জন অংশ গ্রহন করে।পাস করেছে ৯ হাজার ১৫০ জন পরীক্ষার্থী।বানিজ্য বিভাগে জিপিএ-৫ এর সংখ্যা ৫৪৬।

ওদিকে বরিশাল শিক্ষা বোর্র্ডে জিপিএ ৪ পেয়েছে ৬ হাজার ৪১০ জন। এদের মধ্যে ছেলে ৩ হাজার ১০৫ জন এবং মেয়ে ৩ হাজার ৩০৫ জন । জিপিএ ৩.৫ পেয়েছে ৫হাজার ৩১০ জন।এর মধ্যে ছেলে ২ হাজার ৬৯১ জন এবং মেয়ে ২ হাজার ৬১৯ জন। জিপিএ ৩ পেয়েছে ৫ হাজার ২৭৫ জন।এর মধ্যে ছেলের সংখ্যা ২ হাজার ৬৪৮ জন এবং মেয়ের ২ হাজার ৬২৭। জিপিএ-২ পেয়েছে ৬ হাজার ৩৭৩ জন পরীক্ষার্থী।এর মধ্যে ছেলেরা পেয়েছে ৩ হাজার ১৭০ এবং মেয়েরা পেয়েছে ৩ হাজার ২০৩ জন। জিপিএ-১  পেয়েছে ৭৮৬ জন পরীক্ষার্থী।এর মধ্যে ছেলেরা ৩৮৭ এবং মেয়েরা ৩৯৯ জন।

এদিকে এবারের এইচএসসির ফলাফলে এ বোর্ডে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এগিয়ে। ছেলেদের পাসের হার ৭০.৪১ ভাগ। অপরদিকে মেয়েদের পাসের হার ৭১দশমিক ৮৪ভাগ। ছেলেদের পাসের সংখা ১২ হাজার ৬৫১ এবং মেয়েদের পাসের সংখ্যা ১২ হাজার ৮১৩।

উল্লেখ্য গত বছর পাসের হার ছিল ৭৪.৩৪ ভাগ। জিপিএ ৫’র সংখ্যা ছিল ১৪৫৭। এর আগে ২০০৯ সালে পাসের হার ছিল ৬৭ দশমিক ২০ ভাগ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৫৭৪।