দক্ষিনাঞ্চলের সাথে সড়ক যোগাযোগ ঈদের আগেই বন্ধ হয়ে যেতে পারে

যাওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। আষাঢ়ের শুরু থেকে অদ্যবর্ধি প্রবল বর্ষণে মহাসড়কটি মরন ফাঁদে পরিনত হয়েছে। সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটাসহ দক্ষিণাঞ্চলের সাথে সড়ক পথে যোগাযোগের একমাত্র ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গৌরনদী উপজেলার ভূরঘাটা বাসষ্ট্যান্ড থেকে নতুল্লাবাদ বাসটার্মিনাল পর্যন্ত প্রায় ৫০ কিলোমিটার মহাসড়কে ব্যাপক খানাখন্দ ও ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। অধিকাংশ স্থানে মহাসড়কের কার্পেটিং উঠে গেছে। যার ফলে ৩০ মিনিট দূরত্বের পথ অতিক্রম করতে এখন তিন ঘন্টা সময় লেগে যাচ্ছে। এছাড়া অহরহ ঘটছে ছোট-বড় অসংখ্য দূর্ঘটনা।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে সড়কটির বেহাল দশা। ব্যস্ততম এ মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার-হাজার পরিবহনে অসংখ্য যাত্রীরা দেশের বিভিন্নস্থানে যাতায়াত করতে গিয়ে পড়ছেন চরম দুর্ভোগে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের নজরদারী না থাকা, রিপিয়ারিং না করা এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চরম উদাসীনতার কারনে মহাসড়কটি আজ মরনফাঁদে পরিনত হয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ব্যস্ততম এ মহাসড়কের শিকারপুর ও দোয়ারিকা নদীর ওপর সেতু চালু হওয়ার পর সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা, বরিশাল-ঢাকা তথা দক্ষিণাঞ্চলের সাথে যোগাযোগের একমাত্র মহাসড়কের গুরুত্ব অনেকাংশে বেড়ে যায়। এ ব্যস্ততম রুটে প্রতিদিন হাজার-হাজার যানবাহন চলাচল করলেও মহাসড়কের প্রয়োজনীয় উন্নয়ন ও দীর্ঘদিনেও সড়কটি প্রশস্ত না করায় দিন দিন সড়কটি ভেঙ্গে চুরে যানবাহন চলাচলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে।

গৌরনদী হাইওয়ে থানার ইনচার্জ মোঃ আব্দুর রাজ্জাক জানান, আষাঢ়ের শুরু থেকে অদ্যবর্ধি একটানা বৃষ্টির কারনে রাস্তার ওপর ঢালাই দেয়া পিচ উঠে বড় বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে বরিশালের প্রবেশদ্বার গৌরনদীর ভূরঘাটা থেকে বরিশাল নতুল্লাবাদ বাসটার্মিনাল পর্যন্ত প্রায় ৫০ কিলোমিটারের অংশ এখন মরনফাঁদে পরিনত হয়েছে। ভাঙ্গাচোরা রাস্তায় প্রতিনিয়ত যানবাহন বিকল হয়ে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে হাজার-হাজার যাত্রীদের প্রতিদিনেই চরম দুর্ভোগে পরতে হয়। তিনি আরো জানান, মহাসড়কের ভূরঘাটা, কটকস্থল, বার্থী, ইল্লা, সাউদেরখালপাড়, টরকী, কসবা, গৌরনদী, দক্ষিণ বিজয়পুর, আশোকাঠী, হ্যালিপ্যাড, কাসেমাবাদ, বেজহার, মাহিলাড়া, বাটাজোর, বামরাইলসহ বেশ কয়েকটিস্থানে প্রায় প্রতিদিনই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। প্রয়োজনীয় সংস্কার ও উন্নয়ন না হওয়ায় এই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হবার উপক্রম হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

ব্যস্ততম মহাসড়কটি এখন মরন ফাঁদে পরিনত হওয়ার সতত্যা স্বীকার করে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহ্ মোঃ শামস মোকাদ্দেস বলেন, বরিশাল-ঢাকা মহাসড়ক উন্নয়নের জন্য যে পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন সে পরিমাণ অর্থ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নেই। সড়কটি উন্নয়নের জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন।