’৭১-এর চেতনা ও মনোবল নিয়ে নতুন যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে- মির্জা ফখরুল

খোন্দকার কাওছার হোসেন : আজ নতুন এক যুদ্ধ শুরু হয়েছে। এই যুদ্ধ আমাদের অস্তিত্ব ও গণতন্ত্রকে রক্ষার যুদ্ধ। ৭১-এর চেতনা ও মনোবল নিয়ে এই যুদ্ধে সবাইকে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গতকাল শনিবার বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে ঢাকা ইউনিভার্সিটি টিচার্স ফর ন্যাশনাল ইন্টারেস্ট আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
ঢাবির সাবেক প্রো-ভিসি আ ফ ম ইউসুফ হায়দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন ঢাবির অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ, পররমাণু শক্তি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আজিজুর রহমান, অধ্যাপক ড. তাজমেরী এস এ ইসলাম, অধ্যাপক ড. ইয়ারুল কবির, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. এ জেড এম জাহিদ  হোসেন, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, প্রকৌশলী হারুন অর রশীদ, বুয়েটের অধ্যাপক সাব্বির মোস্তফা খান, যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ঢাবির অধ্যাপক তাহমিনা আকতার পপি।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের অস্তিত্ব, স্বাধীনতা, স্বার্বভৌমত্ব বিপন্ন হয়ে পড়েছে। জানি না আমরা কোন দিকে যাচ্ছি। আমাদের কি সিকিম নেপালের মতো ভাগ্য বরণ করতে হবে? জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে যারা ক্ষমতায় এসেছেন বলে দাবি করেন, তারা সুপরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশকে ব্যর্থ ও অকার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত করার সব কাজ সম্পন্ন করে ফেলেছেন।
তিনি বলেন, আমার খুব দুঃখ হয় যখন দেখি দেশের বিরুদ্ধে চুক্তি হয়, অথচ আমার প্রিয় প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি মিছিলও বের হয় না। দুঃখ হয় যখন দেশের গণতন্ত্র লুট করে নেয়া হয়, সংবিধানকে কেটে তছনছ করে ফেলা হয় তখনো ঢাবি থেকে একটি মিছিল বের হয় না।
ফখরুল বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করা হয়েছে। কথা বলার অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। এখন আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই। এখন আর কথা বলার সময় নেই। রাজপথে নেমে এই ষড়যন্ত্র রুখতে হবে। অন্যথায় আমাদের কোনো অস্তিত্ব থাকবে না।