শারদীয় দূর্গা উৎসবের আমেজে একাকার বাঙ্গালী!

তপন বসু, আগৈলঝাড়া : দেবীর বোধন, ষষ্ঠাদি কল্পারম্ভঃ প্রশস্তায় পঞ্জিকানুসারে গত রোববার  থেকে দেবীর দূর্গার বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্যদিয়ে হিন্দু ধর্মের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গা পূঁজার সূচনা হয়েছে আগৈলঝাড়া উপজেলার ১শ ৩৮ পূজা মন্ডপে। যা চলবে আগামী ৬ অক্টোবর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার দেবীর দশমী বিহিত পূজা সমাপ্তে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হবে পাঁচ দিন ব্যাপি সর্ববৃহত ধর্মীয় এ অনুষ্ঠান যজ্ঞ। শারদীয় দূর্গা পূজা হিন্দু ধর্মের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব হলেও কালের বিবর্তনে আজ সকল ধর্মের বিশেষ করে বাঙ্গালীদের সার্বজনীন মিলন উৎসবে পরিনত হয়েছে। গতকাল সোমবার নব পত্রিকা প্রবেশ, স্থাপন, সপ্তম্যাদি কল্পারম্ভ ও সপ্তমী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার মহা অষ্টমী পূজায় শত্র“ পরাজয় ও দুঃখ বিনাশের জন্য দেবীর কৃপা লাভের আশায় ভক্তরা উপবাস, প্রার্থনা ও শ্রদ্ধাঞ্জলী নিবেদন করবেন দেবীর চরণে। বুধবার মহানবমীতে পশুত্ব বলির জন্য  ছাগ বলি দানের মাধ্যমে দেবীর চরণে আশ্রয় নেবেন ভক্তরা।

“ধর্ম যার যার উৎসব সবার”  এ সত্যটি উপলব্ধি হয়েছে উপজেলা সদর সহ বিভিন্ন এলাকার পূজা মন্ডপ ঘুরে। দেখাগেছে, সকালের দিকে তেমন ভীড় না থাকলেও বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ভক্ত আর দর্শনার্থীর পদচারনায় মুখর ছিল প্রতিটি পূজা মন্ডপ। ঢাকের বাজনা, আলোক সজ্জা আর উলুধ্বনিতে মুখর পূজা মন্ডপ। আয়োজকরা জানান, সাধারণত অষ্টমী পূজায় সবচেয়ে বেশী ভক্তের আগমন ঘটে মন্দির প্রাঙ্গনে। কোথাও কোথাও পূজা মন্ডপের সামনে অস্থায়ী খাদ্য ও সৌখিন সামগ্রী দোকানে কেনা কাটার উপচে পরা ভীড় ছোটখাট মেলায় রুপ নিয়েছে। প্রত্যন্ত এলাকার পল্লীতেও শিশু থেকে বুড়ো সকল বয়সী সকল ধর্মের লোকজনের অধিক রাত পর্যন্ত পদচারনা মুখর ছিল লক্ষনীয়। বিভাগের সবচেয়ে বেশী পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে আগৈলঝাড়ায়, তাই পাশ্ববর্তি জেলা ও উপজেলা থেকেও ভক্ত ও দর্শনার্থীদের আগমন ঘটেছে আগৈলঝাড়ায়। হিন্দু, মুসলিম সহ সকল ধর্মের লোকের মিলন মেলায় একাকার হয়েছে বাঙ্গালী।