ঝালকাঠিতে ৬ দিনে প্রায় ৪৪ মন ইলিশ ও ৭২৪৫ মিটার জালসহ ট্রলার আটক

আহম্মেদ আবু জাফর, ঝালকাঠি ॥ উপকূলীয় ঝালকাঠির রাজাপুর ও কাঠাঁলিয়া উপজেলায় প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ মাছ ধরা নিষিদ্ধকরন সংক্রান্ত আইনের গত ৬ থেকে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত ৬ দিনে জেলার ২টি উপজেলায় মৎস্য বিভাগ ও প্রশাসনের সহযোগীতায় ৯ টি অভিযান পরিচালনা করেছে। এর মধ্যে ৪৪ মন মা ইলিশ, ৭হাজার ২শ ৪৫ মিটার জাল ও ৫ মন পচাঁ মাছ জব্দ করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন সুগন্ধা ও বিষখালী নদীতে অভিযান পরিচালনা করে।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজাপুর উপজেলার গালুয়া দূর্গাপুর এলাকা থেকে ৪০মন ডিমওয়ালা মা ইলিশসহ ৫ হাজার মিটার ইলিশ ধরার জাল ও একটি মাছ ধরার ট্রলার আটক করা হয়েছে। রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেনের নেতৃত্বে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফণী ভূষন পাল ও রাজাপুর থানা পুলিশ যৌথভাবে এ অভিযান চালায়।

রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন সাংবাদিকদের জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকে এ অভিযান চালিয়ে দুপুরে গালুয়া ইউনিয়নের দূর্গাপুর এলাকা থেকে এফবি মায়ের দোয়া নামে একটি মাছ ভর্তি ট্রলারসহ ৫ হাজার মিটার জাল আটক করা হয়। তবে জেলেরা মাছ ভর্তি ট্রলার রেখে পালিয়ে গেলে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে আটককৃত ইলিশ উপজেলার বিভিন্ন এতিমখানা ও দু:স্থদের মাঝে বিতরন করা হয়।

আগামী ১৬ অকটোবর পর্যন্ত জেলাধীন নদী গুলোতে মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা সত্বেও এক শ্রেনীর জেলেরা এই আইন অমান্য করে রাতের আধারে ইলিশ মাছ ধরছে। এ ছাড়াও মাছ বাজারে বিক্রি ও জেলেদের কাছ থেকে মৎস্য বিভাগ জেলার ৬৮টি বাজার, ১১টি অবতরন কেন্দ্র, ২৭টি আড়ৎ ৮টি মাছ ঘাটে এই আইনের বাস্তবায়নের ব্যাপারে সহযোগীতা চেয়ে সভা করেছে।

অভিযোগ রয়েছে দক্ষিনাঞ্চলের  মধ্যে উল্লেখযোগ্য আমুয়া মৎস বন্দরে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। মৎস্য শিকারী, খুচরা ও পাইকারী বিক্রেতারা অভিনব কৌশলে মা ইলিশ বিক্রি করছে। আমুয়া গ্রামের বাবুল মিয়া সাংবাদিকদের জানান, প্রতিদিন খুব ভোরে ও সন্ধ্যার পরে আমুয়া মৎস বন্দর থেকে এক থেকে দুই কিলোমিটার দুরে খালের মধ্যে ট্রলার ডুকিয়ে কম দামে বাড়ি বাড়ি পৌছে দেন খুচরা বিক্রেতারা।