এবার ঈদে বরিশাল পুলিশের ঈদ বাণিজ্যে মন্দা ভাব!

শাহীন হাসান, বরিশাল ॥ বরিশাল মেট্রোপলিটন এলাকায় প্রায় দুই শতাধিক পুলিশ অফিসারের ঈদ বাণিজ্য বন্ধ। এবার ঈদুল আযহা উপলক্ষে পুলিশ বাণিজ্যে আগাতে পারেনি। সূত্র জানায়, বরিশাল সদর উপজেলায় নগরীসহ ১০টি ইউনিয়নের জন্য একটি থানা ছিল। সেখানে একজন ওসি ও প্রায় ৩০ জন অফিসার দিয়েই আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখা হতো। তৎকালীন সময় রাজনৈতিক নেতা ও ব্যবসায়ীরা অনেকে খুশী হয়ে থানা পুলিশকে সাধ্যমত খুশী করতো। এছাড়াও বিশাল এরিয়ায় পুলিশের গ্রেফতার বাণিজ্য ছিল। কিন্তু বরিশাল মহানগর হওয়ায় পর একই আয়তনে ৪টি থানা হয়েছে। প্রতিটি থানায় দু’জন ইন্সপেক্টর ও প্রায় ৩০ জনের বেশি পুলিশ অফিসার রয়েছে। অপরদিকে ৩০ ওয়ার্ডে ৪০ জন কাউন্সিলর, একজন মেয়র ও রাজনৈতিক ক্ষমতাসীন দলের পদ পদবী রয়েছে এমন প্রায় চারশত নেতা রয়েছে। কেউ আটক হলে শুরু হয় ক্ষমতাসীনদের তদ্বির। সেখানে অর্থ বাণিজ্য করার সুযোগ কম। আবার পূর্বে এসপি ছিলেন বড় কর্তা। এখন একজন পুলিশ কমিশনার সহ ঊর্ধ্বতন প্রায় ২০ জন অফিসার রয়েছেন। যাদের মোবাইল নাম্বার নগরীর প্রায় ২০টি স্পটে সাইনবোর্ড আকারে টানানো রয়েছে। তাদের কার্যালয়ে যেতে ১০/১৫ টাকা রিক্সা ভাড়া প্রয়োজন হয়। তাই কেউ থানা পুলিশের কাছে সুবিধা না পেলে চলে যান কমিশনারের কার্যালয়ে। তাই পুলিশ অর্থ বাণিজ্য তেমন করতে পারছে না। অফিসারের সংখ্যা বেশি হওায় এখন আর কেউ ঈদ বা পূজায় পুলিশকে ধন্যবাদ দেয়া ছাড়া আর কিছু চিন্তা করে না। অপর একটি সূত্রের মাধ্যমে জানা যায়, ৪টি থানা আলাদা হওয়াতে নগরীতে আইন শৃঙ্খলার উন্নতি হয়েছে। আর পুলিশ অর্থ বাণিজ্য থেকে বিরত রয়েছে। ৪টি থানার ওসি সক্রিয়ভাবে নিজেদের ভূমিকা পালন করছে। এতে করে নগরীতে চুরি, ছিনতাই বন্ধ হয়েছে। যেসব স্পট থেকে প্রতিনিয়ত মাদক আসছে সেখানে প্রশাসনের লোক ডিউটি পালন করছে। ফলে প্রতিদিন কোন না কোন স্থান থেকে মাদক ব্যবসায়ীদের আটক করছে পুলিশ। এবার ঈদুল আযহাতেও সক্রিয় ভাবে মাঠে নেমেছে পুলিশ। আইন-শৃঙ্খলার যাতে কেন অবনতি না ঘটে সেক্ষেত্রে নিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছেন প্রশাসন। এবার পুলিশ নিজেদের বাণিজ্যের কথা চিন্তা করছেন না। কিভাবে নগরীর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করা যায় এবং চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইয়ের হাত থেকে সাধারণ জনগণদের রক্ষা করা যায় সেক্ষেত্রে কাজ করছে বিএমপি কমিশনারের অধীনে থাকা পুলিশ। এছাড়াও দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে ডিআইজির অধীনের সকল পুলিশ কর্মকর্তারা এবার ঈদে পুলিশ বাহিনীর এ পদক্ষেপে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা সহ বরিশাল নগরীর মাদক বিরোধিতা ও ছোট বড় সন্ত্রাসীরা অনেকটা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।