নগরীর সারস্বত স্কুলের ম্যানিজিং কমিটি গঠনে নিয়ম ভেঙ্গেছে শিক্ষাবোর্ড – আন্দোলনে যাচ্চে শিক্ষকরা

শাহীন হাসান, বরিশালঃ ম্যানেজিং কমিটি গঠনে নিয়ম ভেঙ্গেছে বরিশাল শিক্ষাবোর্ড। বরিশাল সারস্বতি স্কুল এন্ড কলেজের পূর্বের কমিটি ভেঙ্গে না দিয়ে নতুন কমিটির অনুমোদন দিয়েছে যা কিনা স্কুলের শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারির অগোচরে। ঘটনা চাউর হওয়ার পর রাগে ক্ষোভে কমিটি গটনের নেপথ্য নায়কের বিরুদ্ধে আন্দেলনে যাচ্ছে স্কুলের শিক্ষক সহ কর্মচারীরা। নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা না করা ম্যনেজিং কমিটির এই ক্ষমতাধর সভাপতির আরেকটি পরিচয় হচ্ছে সদর উপজেলা আওয়ামিলীগের আহবায়ক আনোয়ার হোসাইন ওরফে ভিপি আনোয়ার। ফুসে উঠা শিক্ষকরা ম্যনেজিং কমিটি গঠেনে অনিয়মের বিরধিতা করে কমিটি বাতিল না হওয়া পর্যন্ত কলো ব্যচ ধারন করার হুমকি দেয়ায় গতকাল থেকে উত্তপ্ত সারস্বত স্কুল এন্ড কলেজর পরিবেশ পরিস্থিতি।

শিক্ষকরা জনিয়েছেন, ঘটনার সুষ্ঠ সমাধান না হলে আজ থেকেই তারা কালো ব্যাজ ধারন করে মানব বন্ধন এবং প্রয়োজনে সংবাদ সম্নেলন করবে। কথায় পটু এই ভিপি আনোয়ার বরিশাল সারস্বতি বালিকা বিদ্যালয় ম্যনেজিং কমিটি সভাপতি হওয়ায় সর্বাদাই আতঙ্কে সেখানকার স্কুলের শিক্ষক, কর্মকর্তা- কর্মচারীরা। সুযোগটি কাজে লাগাতে গিয়ে এবার তিনি শিক্ষকদের রোষানরে পরে ফেসে গিয়েছেন যতরীতি। শিক্ষকদের থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ৩ বছর মেয়াতি গত বছরের অক্টোবর মাসে ১১ সদস্যের গঠিত ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি তিনি। কিছুদিন পূর্বে স্কুলটির সাথে যোগ করা হয় একটি কলেজ। স্বাভবতই স্কুলের নাম করন হয় সারস্বতি গালর্স স্কুল এন্ড কলেজ। শিক্ষকদের অগোচরে কলেজ হওয়ার প্রেক্ষিতে পুনরায় গঠন করা হয় ৫ সদস্যের আরেকটি ম্যানেজিং কমিটি। ২ মাস পূর্বে গঠিত একটি কমিটি শিক্ষাবোর্ড থেকে অনুমোদনও করা হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে পূর্বের কমিটিকে ও রাখা হয়েছে বহাল তবিয়াতে, যা কিনা নিয়ম বর্হিভূত। সরাসরি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী শিক্ষামন্ত্রালয় শাখা-১১ বিদ্যালয়-২ এর নং শা/বিবিধ-৪/১৫/৩১২ শিক্ষ ৩ নং ধারায় এ সংক্রান্ত বিধান হল, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেনীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সংশি¬ষ্ট ব্যবস্থাপনা কমিটির কাঠামো অপরিবর্তিত থাকবে যে নিয়মের তোয়াক্কা করেনি খোদ শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষ। ৫ সদস্য বিশিষ্ট এই নির্বাহী কমিটিতে সভাপতি হচ্ছেন আনোয়ার হোসাইন। সদস্য সচিব প্রধান শিক্ষক আবুল মোহাম্নদ ফারুক, দাতা সদস্য বিজয় কৃস্ন দে, জেলা প্রশাসকের মনোনীত প্রতিনিধি অধ্যক্ষ মাকসুদুর রহমান ও বিমল কৃষ্ঞ দে। নিয়ম রয়েছে ম্যনেজিং কমিটির সভাপতি থেকে প্রত্যেক সদস্যের সন্তানদের একজন সংশি¬ষ্ট স্কুলে অধ্যায়নরত থাকতে হবে। কিন্তু ম্যানেজিং কমিটির সদস্য করারই সন্তান এ স্কুলে অধ্যায়নরত নেই। স্কুলটির শিক্ষকরা সভাপতি আনোয়ার হোসাইনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, যখন খুশি তখন মন চাইলেই তিনি শিক্ষকদের চাকুরিচ্যুত করার ভয় দেখিয়ে আসছেন ম্যানেজিং কমিটর সভাপতির দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকে। শিক্ষকরা আরো অভিযোগ করে বলেন, প্রতি জুন মাসে হিসেব শেষে জুলাইতে বাজেট ঘোষনার কথা থাকলেও ডিসেম্বর মাসেও তা করা হয়নি। তাছাড়া কলেজ শাখায় ইচ্ছামাফিক শিক্ষক নিয়োগ করেছেন বলেও অভিযোগ করেন তারা।

এ বিষয়ে ভিপি আনোয়ারের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, কোন স্কুলের সাথে কলেজ যুক্ত হলে মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে তা বোর্ড বাস্তবায়ন করে । আর এ জন্য মন্ত্রনালয়ের নির্দেশ অনুযায়ী ৫ সদস্য বিশিষ্ট সংগঠনের কমিটি গঠন করতে হয়। গোপনে কমিটি গঠন সম্পর্কে তিনি বলেন মোটেই গোপনে কিমিটি করা হয়নি। স্কুলের অধিকাংশ শিক্ষকরাই এ বিষয়ে অবগত আছেন। বাজেট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিগত মে মাস পর্যন্ত তারা আয়-ব্যায়ের হিসাব দিতে সামর্থ্য হয় কিন্তু এরপর থেকে পাওয়া যায় গড়মিল। যে কারনে এখনও বাজেট করা হয়নি। তিনি হুমকির বিষয়ে বলেন, স্কুলের কোন শিক্ষককেই সরাসরি কিছু বলা হয়না। তবে নিয়মিত দায়িত্ব পালনের জন্য অনুরোধ করা হয়। তিনি স্কুল এন্ড কলেজের উন্নয়নের জন্য সবধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবেন বলে জানান। এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবু মোহাম্নদ ফারুকের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যান।