জাল ওয়ারিশ সার্টিফিকেট তৈরী করতে গিয়ে এক প্রতারক ফেঁসে গেছে

আগৈলঝাড়া সংবাদদাতা ॥ গ্রাম পুলিশ, ইউপি সদস্য ও আবেদনকারীর সই স্বাক্ষর জাল করে ওয়ারিশ সার্টিফিকেট তৈরি করতে গিয়ে ধরা পারেছে এক প্রতারক।

অভিযোগ ও সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানাগেছে, উপজেলা বারপাইকা গ্রামের নিখিল কির্ত্তুনীয়া দির্ঘ্য দীন থেকে ভারতে বসবাস করছে। সম্প্রতি নিখিল কির্ত্তুনীয়ার পুত্র নিহার কির্ত্তুনীয়া বাংলাদেশে এসে তার মামা বাড়ি মাহিলাড়া অবস্থান নিয়ে তার বাড়ির লোকদের না জানিয়ে গোপনে ওয়ারিশ সার্টিফিকেট ম্যানেজ করতে বারপাইকা গ্রামের মৃত মনমোহন বিশ্বাসের পুত্র সঞ্জিব বিশ্বাসের সাথে ২০ হাজার টাকায় চুক্তি করে। চুক্তির বড় একটি অংশ সঞ্জিব বিশ্বাস হাতে নিয়ে গত ২০ ডিসেম্বর স্থানীয় গ্রাম পুলিশ বাবু চৌকিদার, ইউপি সদস্য অজিত বাড়ৈ ও ওয়ারিশ সার্টিফিকেটের আবেদনকারী নিহার কির্ত্তুনীয়ার সই স্বাক্ষর জাল করে রতœপুর ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর আনতে গেলে চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা সরদারের জিজ্ঞাসাবাদে জালিয়াতীর ঘটনা ধরা পরে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান মোস্তফা সরদার, ইউপি সদস্য অজিত বাড়ৈ, গ্রাম পুলিশ বাবু হালদার ও সংশ্লিষ্টরা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। এঘটনায় গ্রাম পলিশ বাবু চৌকিদার ওই দিনেই আগৈলঝাড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেন। জালিয়াতীর এ ঘটনা ইউনিয়ন ব্যাপী ব্যাপক তোলপাড় হলেও স্থানীয় সালিশ ব্যবস্থায় বিচারের সিধান্ত হয়। কয়েক দফা সিধান্ত নিয়ে ২৩ ডিসেম্বর বারপাইকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে স্থানীয় নিরাঞ্জন কির্ত্তুনীয়ার সভাপতিত্বে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুনীল কুমার বাড়ৈ, সহকারী প্রধান শিক্ষক পরিমল চন্দ্র ঢালী, আওয়ামীলীগ নেতা রবীন্দ্রনাথ হালদার, মৃনাল বাড়ৈসহ গন্যমান্যরা বিচার ব্যবস্থার  আয়োজন করলেও তা চুড়ান্ত সিন্ধান্ত ছারাই সমাপ্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। জালিয়াতীর এঘটনায় এখনো উত্তেজনা বিরাজ করছে।