বরিশাল জিলা স্কুলের ১৯৭২ সালের ব্যাচের পুর্নমিলন

তাওহীদ হাসান, বরিশাল ॥ আজ থেকে চল্লিশ বছর আগের কথা। বরিশালের প্রাণ কেন্দ্র Barisal Zilla School 1972 batchশহীদ মিনারের বিপরীতে অবস্থিত ১৮০ বছরের ঐতিহ্যের কৃতি বরিশাল জিলা স্কুল থেকে ১৯৭২ সালে পাশ করেছিলেন সেসময়ের এক ঝাঁক মেধাবী শিক্ষার্থী। আজ তাঁরা সমাজে বিভিন্ন ভাবে প্রতিষ্ঠিত। অনেকেই নিজেকে যোগ্য হিসেবে তৈরী করে কাজ করছেন দেশ বিদেশের অনেক জাগায় এবং প্রতিনিধিত্ব করছেন তাঁর স্কুলের। আজ চল্লিশ বছর পর তাঁরা আবার মিলিত হলেন। স্বাধীনতার সময় পাশ করা এসব পেশাজীবিরা আজ স্বাধীনতার অর্জনের চল্লিশ বছরের মাথায় আবারো একবার মিলিত হচ্ছেন, এর যেন এক অন্য রকম তাৎপর্য আছে। তাই এ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে চলে এসেছেন অনেকেই। যারা আছেন দেশের বাইরে, তাদের অবশ্য দূঃখ প্রকাশ করা ছাড়া আর কিছুই করার ছিলনা। তবে বার বার যোগাযোগ করছেন সহপাঠীদের সাথে।

১৩ জানুয়ারী শুক্রবার সকাল ৯.৩০ মিনিটে বরিশালের একমাত্র শিশুপার্ক ‘প্লানেট পার্কে’ শুরু হয় এ অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন জিলা স্কুলের তৎকালীন শিক্ষক জনাব মতিউর রহমান, জনাব আ. শুকুর এবং জনাব আ.শাহ্লম। তাদের উপস্থিতিতে দোয়া ও বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের সুচনা হয়। স্মরণ করা হয় সেসব সহপাঠীদের যারা আজ পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন। সকাল ১০.০০ টায় পরিবার নিয়ে পরিচয় পর্ব। ১০.৩০ টায় চা পান। ১২.০০ শুরু হয় ছোটদের নিয়ে খেলার আয়োজন। এ আয়োজন সবাইকে বিশেষ ভাবে প্রফুল্ল করে। বেলা ০১.০০ থেকে ০২.০০ নামাজের বিরতি এবং মহিলা ও শিশুদের খাবারের সময়। দুপুর ০২.০০ টায় সকলের খাবারের পর শুরু হয় সবার জন্য খেলা। বিকেল ০৩.৩০ টায় অয়োজন করা হয় মহিলাদের খেলা। এ খেলা সত্যি সবাইকে আনন্দ দেয়। এ পর্বের পর আবার চা পানের আয়োজন। তাঁর পর শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এ অনুষ্ঠান সম্পর্কে জানতে চাইলে জিলা স্কুলের ১৯৭২ সালের ব্যাচের শিক্ষার্থী, শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ বরিশাল এর সহকারী অধ্যাপক ও জিলা স্কুলের তৎকালীন শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন আহমদ -এর ছেলে ডা.মুজাহিদ উদ্দিন আহমদ দিদার বলেন, অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পেরে খুব ভালো লাগছে। অয়োজকদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে আসলে এটা সম্ভব হলো। অনেক দিন পর অনেক বন্ধুদের সাথে দেখা হলো। বেশ ভালো লাগছে। আর আমার বাবা এই জিলা স্কুলেরই শিক্ষক ছিলেন, তাই  স্কুলের সাথে আমার একটি আত্বার বা হৃদয়ের সম্পর্ক আছে। সামনে এমন ভাবে আবার মিলিত হবার আশা করছি। তবে খারাপ লাগছে স্কুল জীবনে যাদের সাথে সময় কাটিয়েছি তাদের কেউ কেউ আজ আমাদের ছেড়ে চির তরে চেলে গেছে তাদের জন্য।
 
জিলা স্কুলের ১৯৭২ সালের ব্যাচের শিক্ষার্থী প্লানেট পার্কের পরিচালক জনাব  প্রকৌশলী শহীদের সৌজন্যে শিশু পার্কে পুরো অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়।

রাতের খাবারের পর সবার শেষে অনুষ্ঠিত হয় র‌্যাফেল ড্র এবং পুরুষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান।