অবৈধ শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের দাবিতে বিভিন্ন দপ্তরে এলাকাবাসির আবেদন

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ বরিশালের গৌরনদী উপজেলার পূর্ব কসবা কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকাসহ অন্যান্য শিক্ষিকাদের নিয়োগকে অবৈধ দাবি করে জরুরি ভিত্তিতে তাদের নিয়োগ বাতিলের দাবিতে এলাকাবাসি বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত আবেদন করেছেন।

গৌরনদী প্রেসক্লাবে দেয়া লিখিত আবেদনে জানা গেছে, অতিসম্প্রতি কমিউনিটি বিদ্যালয়টি রেজিষ্টার ভুক্ত হয়েছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কতিপয় কর্মকর্তাদের মোটা অংকের টাকা উৎকোচের বিনিময়ে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষিকাদের অবৈধ নিয়োগ বহাল রেখে সরকারি অর্থ হাতিয়ে নেয়ার চেষ্ঠা চালানো হচ্ছে। স্থানীয় ফিরোজ হোসেন ফকিরসহ একাধিক ব্যক্তির দেয়া অভিযোগে জানা গেছে, পূর্ব কসবা কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি দীর্ঘ দু’বছর বন্ধ থাকার পর চলতি বছরের জুলাই মাস থেকে পূর্ণরায় স্কুলের কার্যক্রম শুরু করা হয়। পূর্বে এ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার দায়িত্বে ছিলেন জনৈকা মনিরা খানম। বন্ধের পর পূর্ণরায় স্কুলের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলের চাপের মুখে প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় রুকসানা ফাহিমাকে। তার নিয়োগে ২০১০ সনের ২৯ ডিসেম্বর উল্লেখ করা হয়। কিন্তু ওই সময়ে স্কুলটি সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ ছিলো। এছাড়াও ওই শিক্ষিকার বয়সের ক্ষেত্রেও রয়েছে নানা জটিলতা।

স্থানীয় হারুন সরদার, রানু বেগম, খোকন ফকিরসহ একাধিক ব্যক্তিরা অভিযোগ করে বলেন, স্কুলটির সকল কার্যক্রম বন্ধের সময় কি করে প্রধান শিক্ষিকাসহ অন্যান্য শিক্ষিকাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে তা আমাদের বোধগম্য নয়। তারা আরো জানান, অতিসম্প্রতি সরকার বিদ্যালয়টি রেজিষ্টার ভুক্ত করেছে। এ সুযোগে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কতিপয় কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে ওই শিক্ষিকারা পুরনো (ব্যাগডেটের) পত্রিকার মাধ্যমে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে স্ব-স্ব পদে বহাল থাকাসহ সরকারি ভাবে বরাদ্দকৃত পুরো বেতন উত্তোলনের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাই তারা (স্থানীয়রা) ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা রুকসানা ফাহিমা, সহকারি শিক্ষিকা ময়না আকতার, হালিমা আকতার ও সারমিন আক্তার বনানীর নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ করে তাদের বেতন ভাতা বন্ধসহ সঠিক তদন্তের মাধ্যমে পূর্ণরায় শিক্ষিকা নিয়োগের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ লক্ষ্যে তারা বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত আবেদন করেছেন বলেও উল্লেখ করেন।