বরিশাল জেলা আইনজীবি সমিতির নির্বাচন – বিজয়ী হতে সদস্যদের বকেয়া চাঁদা পরিশোধে প্রার্থীদের টানা হেচড়া

শাহীন হাসান, বরিশাল ॥ বরিশাল জেলা আইনজীবি সমিতির সদস্যদের মাসিক বকেয়া চাঁদা পরিশোধ নিয়ে চলছে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতাকারীদের টানা হেচড়া। ভোট নিজস্ব প্যানেলে আনার জন্য ইতিমধ্যে বকেয়াদের খসড়া তালিকা সংগ্রহ করা শুরু করে দিয়েছে প্রার্থীরা। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও আইনজীবি সমিতির চাদা বকেয়া রয়েছে প্রায় ৩ লাখ টাকা। প্রতি বছর নির্বাচনে তফসিল ঘোষনা করা হলে এক সাথে অনেকেই বকেয়া চাদার টাকা পরিষোধ করে থাকেন। নির্বাচনে বিজয়ী হতে প্রার্থীরা ভোট লাভের আশায় অন্যান্য আইনজীবিদের মাসিক চাদা পরিশোধ করে থাকেন প্রতি বছরেই। যে কারনে অনেক আইনজীবি ইচ্ছেকরেই চাদা পরিশোধ করেন না বছরের পর বছর। কারন নির্বাচন এলে যাকে ভোট দিবেন সে বাধ্য হয়ে চাদার টাকা পরিশোধ করিয়ে ভোটার করাবেন। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না।

খোজ নিয়ে জানা যায়, বরিশাল জেলা আইনজীবি সমিতিতে প্রায় ৭শ আইনজীবি রয়েছে। এদের মধ্যে বেশীরভাগ আইনজীবি নিয়মিত আদালতে মামলা পরিচালনা করছেন। আবার অনেকে সদস্য থেকে অন্য পেশায় নিয়োজিত হয়ে সদস্য পদ ধরে রেখেছেন। প্রতি আইনজীবির মাসিক চাদা ধার্য করা হয়েছে মাত্র ৫০টাকা। যা মাসের পর মাস বকেয়া থাকে। অপর একটি সূত্রে জানাযায়, প্রায় ৫শ আইনজীবির ১২মাসের চাদার টাকা এখনও বকেয়া রয়েছে। খসরা ভোটার তালিকা আগামী ২৫ই  জানুয়ারি প্রকাশ করবেন নির্বাচন কমিশনার। এ উপলক্ষে এখন আইনজীবিরা চাদা পরিশোধ করার জন্য হিসাব কষছেন আবার অনেকেই অপেক্ষা করছেন শেষ মূহুর্তে করার জন্য। এতে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে।

আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারী বরিশাল জেলা আইনজীবি সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠীত হবে। গত ১৫ জানুয়ারি প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ্যাড মজিবুর রহমান নির্বাচন তফসিল ঘোষনা করেন। ঘোষিত তফসিলে বলা হয় ইংরেজী ২০১১ সালে যে সকল সদস্য আইনজীবি সমিতির চাদা পরিশোধ করবেন কেবল তারাই ভোটার হতে পারবেন। তাছাড়া ২৫ জানুয়ারি খসরা ভোটার তালিকা প্রকাশ এবং ১লা ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে বলা হয় তফসিলে। যার চাদার টাকা দিবেন না তারা ভোটার তালিকা থেকে বাদ পরবেন।