কনের বাড়ি থেকে ফেরার পথে বরযাত্রীবাহী বাস দূর্ঘটনায় নিহত ১ ॥ আহত ৪০

গৌরনদী হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাম্মেল হোসেন ও আহত যাত্রী স্বপন মালো জানান, ঝালকাঠী সদরের গুরুদাস মহল্লার ব্যবসায়ী তেন্দাত মালোর পুত্র লিটন মালো ওরফে লিটুর সাথে গৌরনদী সদরের পালরদী গ্রামের নিতাই মালের কন্যা নিতু মালের সাথে মঙ্গলবার বিয়ের দিন তারিখ ধার্য হয়। সেমতে ওইদিন রাতে বরযাত্রীরা কনের বাড়ি থেকে খাওয়া দাওয়া শেষে রাত সাড়ে বারোটার দিকে বর ও কনেকে রেখে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। গৌরনদী বাসষ্ঠ্যান্ড থেকে ৫০ জন বরযাত্রী নিয়ে বাস (ঢাকা মেট্রো চ-৬৯২৯) ঝালকাঠীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। পথিমধ্যে রাত একটার দিকে বরযাত্রীবাহি গাড়িটি নতুন শিকারপুর নামকস্থানে পৌঁছলে বিপরীতদিক থেকে আসা একটি মালবাহি ট্রাককে সাইড দিতে গিয়ে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে মহাসড়কের পার্শ্বে খাঁদে পরে উল্টে দুমরে মুচরে যায়। এ সময় আহত বরযাত্রীদের ডাকচিৎকারে এলাকাবাসি ও টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে। দুর্ঘটনায় বরযাত্রী ও বাসষ্টাফসহ ৪০ জন আহত ও গাড়ির সুপারভাইজার সহিদ হোসেন ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। নিহত সুপারভাইজারের বাড়ি ঝালকাঠীর নলছিটি উপজেলার রায়পাশা গ্রামে।
গুরুতর আহত গুরুদাস মালো, স্বপন, পিন্টু মালো, অনামিক, তরুন, নায়ারন মালো, তন্ময়, সমীর, নারোদ মালো, লিটন, রিপন, আজিজুর রহমান, মাজেদ খলিফা, মজিবুর রহমান, সোনাতন, রাজিব দেবনাথসহ ২৯ জনকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও ২৩ জনকে গৌরনদী ও উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।