হুমকির মুখে এলাকা ছেড়েছে অসংখ্য পরিবার

শুকুমার রায়, ধামু রায়, শ্যামল বাড়ৈসহ একাধিক ব্যাক্তি অভিযোগ করেন, থানা পুলিশের সাথে সাগরের সক্ষতা থাকায় তাদের বিচার ঝুলে রয়েছে। উল্টো তাদের ঘায়েল করতে সাগরের কথিত ফার্মের ম্যানেজার রিপনকে বাদি করে দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে উপজেলার জনপ্রিয় যুবলীগ নেতা লিটন মিয়াসহ সংখ্যালঘু ও দিনমজুরদের আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তারা আরো অভিযোগ করেন, বর্তমান উজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম.এ আজিজের সাথে পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরেই সাগর এসব অপকর্ম করে পার পেয়ে যাচ্ছেন।
ওই গ্রামের সুবল মন্ডল জানান, সাগরের ভাড়াটিয়া সর্বহারা সশস্ত্র ক্যাডারদের অব্যাহত হুমকির মুখে তিনিসহ গ্রামের একাধিক পরিবারের কুমারি মেয়েদের ও গৃহবধুদের নিরাপদ স্থানে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া গ্রামের একাধিক পরিবারের সদস্যরা সন্ত্রাসীদের ভয়ে ও পুলিশি গ্রেফতার আতংকে এলাকা ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। ঘেরপাড়ের টং ঘরে শ্রমিক নামধারী তরিকুল ইসলাম তারিকের কাছে তার পরিচয় জানতে চাইলে তিনি ওই ওয়ার্ডের (৩নং) ছাত্রলীগ সভাপতি বলে দাবি করলেও স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল হক হাওলাদার তা অস্বীকার করেন।
সরেজমিন টংঘরে মোতায়েনকৃত অর্ধশতাধিক লোকজন দেখা গেলেও সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা বিভিন্ন পন্থায় দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন।

উজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি এম.এ আজিজের সাথে সাগরের পূর্ব পরিচয়ের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি তা অস্বীকার করে বলেন, আমি বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমাধানের চেষ্টা চালাচ্ছি। তিনি আরো জানান, মাসখানেক পূর্বে এ ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছিলো। গত সোমবার থেকে সাগর সশস্ত্র সর্বহারা গ্র“পের লোকজন মোতায়ন করে সংখ্যালঘুদের ভয়ভিতি প্রদর্শন করে পূর্ণরায় ঘেরকাটার কাজ শুরু করার খবর পেয়ে আমি গত মঙ্গলবার (১৫ জুন) পুলিশ পাঠিয়ে ঘের কাটা বন্ধ করিয়েছি। উভয় গ্র“পের মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই. শামীম আহম্মেদ বলেন, দিনমজুরদের পক্ষে শহিদুল হক গত ১৩ জুন সাগরসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। অপরদিকে গত ১৪ জুন সাগরের ম্যানেজার রিপন ১৩ জনকে আসামি করে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করেন। উভয় মামলার তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। উল্লেখিত অভিযোগের কথা অস্বীকার করে মোবাইলফোনে আমিনুল ইসলাম সাগর বলেন, আমি যা করছি তার বৈধতা আছে।