আগৈলঝাড়া যৌণ নিপীড়ণ ও ধর্ষণের ঘটনায় বাকপ্রতিবন্ধীর গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা

মণীষ চন্দ্র বিশ্বাস, গৌরনদী ॥ বরিশালের আগৈলঝাড়ায় এক বখাটে কর্তৃক যৌন নিপীড়ণ ও ধর্ষণের ঘটনায় এক বাকপ্রতিবন্ধী মেয়ে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই কিশোরীর পরিবার বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে জানা গেছে।

সরজমিন ও স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের মধ্য শিহিপাশা গ্রামের জনৈক অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্টের ১৮ বছরের বাকপ্রতিবন্ধী মেয়ে বুধবার রাতে ঘরের পার্শ্ববর্তী পুকুরে অজু করতে গেলে পাশের বাড়ির আনোয়ার হোসেনের বখাটে ছেলে সুজন তাকে ধর্ষণের জন্য টেনে হিঁচড়ে জোরপূর্বক নিয়ে যায়। তার চিৎকারে তার মা রাহিমা বেগম ও প্রাইভেট শিক্ষক তাকে খুঁজতে বের হলে বখাটে সুজন তাদের দেখে পালিয়ে যায়। এসময় অসুস্থ অবস্থায় মেয়েকে উদ্ধার করে পরিবারের লোকজন। প্রতিবন্ধি মেয়েকে এর পূর্বে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি বাড়ির পার্শ্ববর্তী রাকিবের বাড়িতে পানি আনতে গেলে রাকিব ও তার স্ত্রী ঘরে আটতে রেখে সুজনকে সংবাদ দেয়। সুজন এসে ওই বাকপ্রতিবন্ধী মেয়েকে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করে কাউকে না বলার জন্য হুমকি দেয়। এঘটনা এলাকায় জানাজানি হওয়ার পরে ওই বাকপ্রতিবন্ধী মেয়ে লোকলজ্জার ভয়ে গত ২৬ জানুয়ারি নিজবাড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এসময় তার মা রাহিমা বেগম দেখে দরজা ভেঙে মেয়েকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে। একাধিকবার ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও বখাটে সুজন প্রভাবশালী হওয়ায় তাকে কেই কিছু বলতে সাহস পাচ্ছেনা। উল্টো তাদের পরোক্ষভাবে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে ওই পরিবার বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন। এব্যাপারে পুলিশের এসআই আলী আহম্মেদ জানান, এরকম ঘটনার কোন লিখিত আভিযোগ আমরা পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানূগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।