স্বামীর খুনীদের ফাঁসির দাবি করলেন কর্ণেল জাহিদের স্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ “আমার স্বামীর মতো নির্মম মৃত্যুর স্বীকার যেন আর কোনদিন কেহ না হয়। আমি আমার স্বামীর খুনীদের ফাঁসি চাই”-আবেগআপ্লুত হয়ে কথাগুলো বলছিলেন, পিলখানা ট্রাজেডিতে নিহত শহীদ কর্ণেল বি.এম জাহিদ হোসেন চপলের স্ত্রী নিশরাত হক ছন্দা। বিডিআরের বিদ্রোহী জওয়ানদের হিংস্রতায় নিহত হয়েছিলেন ময়মনসিংহের বিডিআর সেক্টর কমান্ডার ও বরিশালের আগৈলঝাড়ার কৃতি সন্তান কর্নেল বি.এম জাহিদ হোসেন চপল। পিলখানা ট্রাজেডির পাঁচ বছর পরেও কান্না থামেনি কর্ণেল জাহিদের পরিবারের।

বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার চাঁত্রিশিরা গ্রামের মৃত কাসেম মিয়ার চার পুত্রের মধ্যে কর্ণেল বি.এম জাহিদ হোসেন চপল ছিলেন সবার ছোট। তাই তিনি (জাহিদ) ছিলেন পরিবারের সবার আদুরের। ১৯৮২ সনে কমিশনার পদে তিনি সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। পিলখানা ট্রাজেডির মাত্র দু’মাস পূর্বে যশোর সেনানিবাস থেকে কর্নেল জাহিদ ময়মনসিংহ বিডিআর সেক্টর কমান্ডার হিসেবে যোগদান করেন। তার স্ত্রী নিশরাত হক ছন্দাসহ দু’পুত্র নিলয় ও নিরঝর থাকেন ঢাকার উত্তরার একটি ভাড়াটিয়া বাসায়। বিডিআরের বিদ্রোহী জওয়ানদের গুলিতে নিহত হওয়ার একদিন পর ঢাকার নবাবগঞ্জের ভেড়িবাঁধ এলাকা থেকে জাহিদের লাশ সনাক্ত করেন তার পরিবারের সদস্যরা।

শহীদ কর্ণেল জাহিদ হোসেনের স্ত্রী নিশরাত হক ছন্দা কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, দেশকে আমি খুব ভালবাসি। আর ভালবাসি বলেই মনের টানে যারা দেশের জন্য একনিষ্ঠ ভাবে কাজ করবে সেই সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা বি.এম জাহিদ হোসেনকে বিয়ে করেছিলাম। এইকি ভালবাসার প্রতিদান…! বলেই কান্নায় ভেঙ্গে পরেন নিশরাত হক ছন্দা। ক্ষোভের সাথে তিনি বলেন, যারা আমাকে করেছে বিধবা, আর সন্তানদের করেছে পিতৃহারা। সেইসব ঘাতকদের বেঁচে থাকার কোন অধিকার নেই। ওইসব খুনীদের ফাঁসির রায় কার্যকর না করা পর্যন্ত জাতি কলংঙ্ক মুক্ত হবেনা বলেও তিনি উলে¬খ করেন।