গত সাড়ে ৩ বছরের বরিশালে ৪ জেলায় র‌্যাবের সাফল্য

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ র‌্যাব-৮ এর অধীন সিপিসি-১ এর কর্ম এলাকা বরিশালের ৪ জেলায় গত সাড়ে ৩ বছরের অভিযানে দু’ সহস্রাধিক অপরাধীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে ২৫ হাজার বোতল ফেন্সিডিল, সাড়ে ৩ হাজার পিস ইয়াবা ১১৫টি আগ্নেয়াস্ত্র। এ ছাড়াও ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে সাড়ে ৩১ লাখ টাকা জড়িমানা আদায় করে সরকারী কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে।

সিপিসি-১ এর অধীন বরিশাল , ভোলা, ঝালকাঠী ও পিরোজপুর জেলায় অভিযান চালিয়ে এ সাফল্য আসে। র‌্যাব-৮ এর অধীনে থাকা  ১১ জেলার মধ্যে ৪ টি সিপিসি’র মধ্যে সিপিসি-১ কমান্ডার মেজর রাশেদুল হক খান এ বছর পুলিশ পদক পিপিএম পেয়েছেন। ২০০৯ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর তিনি এখানে কম্পানি কমান্ডার হিসাবে যোগদান করেন। সম্প্রতি তাকে কুমিল্লার ময়নামতি ক্যান্টমেন্টে নিজস্ব বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার আদেশ আসে । গতকাল বৃহস্পতিবার ক্যাপ্টেন বাশারের কাছে সিপিসি-১ এর দায়িত্ব হস্তান্তর করেছেন। এ সময় তারা দায়িত্ব পালন কালে গত সারে ৩ বছরের অপরাধ দমনের চিত্র তুলে ধরে ইত্তেফাককে জানান- ২৫ হাজার বোতল ফেন্সিডিল ও  ৬৫ লিটার ফেন্সিডিল বিভিন্ন অবস্থায় রাখা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। শুধুমাত্র ফেন্সিডিলের সাথেই গ্রেফতার করা হয় ২১০ জন মাদক ব্যবসায়ী ও সেবীকে। ৫৮০ কেজি গাজা সহ  গ্রেফতার করা হয় ১৬২ জনকে। সাড়ে ৩ হাজার পিস ইয়াবা সহ গ্রেফতার হয় ৬৭ জনকে। ১১৮ লিটার বাংলা মদ সহ গ্রেফতার করা হয় ৫ জনকে। প্রায় ৭ কেজি হিরোইন সহ গ্রেফতার করা হয় ৪০জনকে। ৬৪ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করে উদ্ধার করা হয় ২০টি পিস্তল, ২৫টি এলজি, ১৭ টি ওয়ান শুটার গান, দু’টি টু-টু বোর রাইফেল, থ্রি-নট-থ্রি (৩০৩) ৬ টি রাইফেল, ১০ বন্ধুক, ৩২টি পাইপগান ও ৫ টি এয়ারগান। ২০ জন আন্তজেলা ডাকাত দলকে গ্রেফতার করে তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ৬৪টি ধারালো অস্ত্র সহ ডাকাতির বিভিন্ন মালামাল। পলাতক আসামী গ্রেফতার করা হয়েছে ৬৭৩ জন। অপহরনকারীদের কবল থেকে উদ্ধার করা হয় ১৪ জনকে এবং ১০ অপহরনকারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। সাড়ে ৬’শ রাউন্ড তাজা গুলি ও ১০টি ম্যাগজিন উদ্ধার করা হয় ৪ জেলা থেকে। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে সাড়ে ৩১ লাখ টাকার বেশী জড়িমানা আদায় করে সরকারী কোষাগারে জমা দেয়া হয়। ২৭ জন চিহিৃত ছিনতাই কারী ছাড়াও সন্দেহ ভাজন ২২৭ জনকে গ্রেফতার করে বিভিন্ন থানায় সোপর্দ করা হয় গত সারে ৩ বছরে। ৪৮ জন গাড়ি চোরকে আটক করে তাদের কাছ থেকে ১৪৫টি মোটর সাইকেল , ৫টি মাইক্রোবাস ও ৬ টি চোরাই ট্রাক উদ্ধার করা হয়। ৪ লাখ  টাকার বেশী জাল নোট সহ গ্রেফতার করা হয় ৫জনকে। গ্রেফতারকৃতরা সবাই জাল টাকার ব্যবসায়ী বলে মেজর রাশেদ জানান। ৩৭ জনকে জেহাদী বই লিফলেট সহ গ্রেফতার করা হয়। জুয়ারী গ্রেফতার করা হয় ১৫৮ জন। ৫৯ জন প্রতারক ও ২৮২ ব্যক্তিকে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। এ ছাড়া দেশী বিদেশী মদ, ভিডিও পাইরেসী, অশ্লীল সিডি ও বোমা -ককটেল সহ বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীকে তিনি পাকরাও করতে সক্ষম হন।