বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের দায়িত্বহীনতা – এইচএসসি’র নৈব্যর্তিক উত্তরপত্রের পরিবর্তে জেএসসি ও এসএসসির উত্তরপত্র সরবারহ

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ আগামী ১ এপ্রিল অনুষ্ঠিতব্য এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহনকারী বরিশালের গৌরনদী কেন্দ্রের শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠানো নৈব্যর্তিক উত্তরপত্রের পরিবর্তে জেএসসি ও এসএসসি’র নৈর্ব্যতিক উত্তরপত্র পাঠিয়েছে বরিশাল শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ। গৌরনদী উপজেলার তিনটি পরীক্ষা কেন্দ্রের ৫টি ভেনুর ২ হাজার ৩৪৮ জন পরীক্ষার্থীর জন্য এসব ভুল উত্তরপত্র সরবরাহ করা হয়েছে। এ নিয়ে শিক্ষা বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দায়িত্বহীনতার অভিযোগ উঠেছে।

গৌরনদী পরীক্ষা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ মার্চ গৌরনদী কেন্দ্রের সরকারি গৌরনদী কলেজ, বার্থী ডিগ্রী কলেজ ও গৌরনদী গালর্স হাইস্কু এন্ড কলেজের ১ হাজার ৪৯২ জন ও মাহিলাড়া ডিগ্রী কলেজ কেন্দ্রের ৫৯৫ জন ও সরিকলের হোসনাবাদ ডিগ্রী কলেজ কেন্দ্রের ২৬১ জন পরীক্ষার্থীর জন্য পাঠানো সকল উত্তরপত্রই ভুল।

সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বশীল একটি সূত্রে জানা গেছে, ভুল উত্তরপত্র পাওয়ার পরে তারা (সংশ্লিষ্টরা) বরিশাল শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে সেগুলো বোর্ডে ফেরত পাঠিয়েছেন। পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার সকালে বোর্ড কর্তৃপক্ষ পূর্নরায় সেই ভুল উত্তরপত্রই পাঠানো হয়েছে। একাধিক শিক্ষকেরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বোর্ড কর্তৃপক্ষের ভুলের এ দায় দায়িত্ব কে নেবে। মাহিলাড়া ডিগ্রী কলেজে কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও কলেজের অধ্যক্ষ ফিরোজ ফোরকান আহমেদ ও হোসনাবাদ ডিগ্রী কলেজে কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অসীম কুমার সিকদার বোর্ড কর্তৃপক্ষের ভুলের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমরা বিষয়টি বোর্ড কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। স্বল্প সময়ে এগুলো সংশোধন করা সম্ভব নয় বলে তারা আমাদেরকে জানিয়েছে। পাঠানো ভুল উত্তরপত্র দিয়েই পরীক্ষা নেয়ার জন্য আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষকেরা বলেন, শিক্ষার্থীরা যদি জেএসসি ও এসএসসি’র স্থল কেটে সংশোধন করে এইচএসসি না লিখে সে ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের ভাগ্যে কি ঘটবে। এ বিষয়ে তারা বোর্ড কর্তৃপক্ষকে সতর্ক হওয়ার আহবান জানান। একাধিক শিক্ষার্থীরা জানায়, ভুলের এ বিষয়টি শিক্ষকদের কাছ থেকে জানার পরে অনেকেই হতাশ হয়ে পরেছেন। গৌরনদী পরীক্ষা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সরকারি গৌরনদী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আঃ মজিদ হাওলাদার ভুলের সত্যতা স্বীকার করেন। অভিযোগ প্রসঙ্গে জানার জন্য বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোঃ আলমগীর হোসের সাথে তার ব্যবহৃত (০১১৯৮-০০০০৬৫) নাম্বারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।