দিনমজুর মজিদের সিএ হওয়ার স্বপ্ন

মজিদ হাওলাদার জানায়, তার পিতা কটকস্থল গ্রামের দিনমজুর আবুল কালাম হাওলাদার। ছয় সদস্যর পরিবার। তার পিতার একার উপার্জন দিয়ে কোন মতে চলে তাদের সংসার। সংসারের বড় সন্তান হিসেবে পিতার সাথে সংসারের হাল ধরতে হয় মজিদকে। সপ্তাহের গুরুতপূর্ন ক্লাশ গুলোয় সে উপস্থিত থেকে বাকি দিন কামলা দেয়। এভাবেই কামলা দিয়ে টরকী বন্দর ভিক্টোরী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এবারের এস.এস.সি পরীক্ষায় কৃতিত্ব অর্জন করে। ভাল ফলাফল করেও কলেজে ভর্তি না হওয়ার আংশকায় তার ভবিষৎত অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। মজিদ আরো জানায়, তার নিকটতম এক আত্মীয়র সহযোগীতায় বার্থী ডিগ্রী কলেজে ভর্তি হয়েছে। কলেজের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে না যাওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আবেগআপুত হয়ে মজিদ বলেন, পেটে ক্ষুধা রেখে সংবর্ধনা নেয়ার লাভ কি? কয়েকদিন দুর্যোগপূর্ন আবহাওয়ার কারনে আমি ও আমার পিতা কামলা দিতে পারিনি। ঘরে খাবারমতো কিছু নেই। আজ আবহাওয়া প্রতিকুলে থাকায় পান বরজে কামলা দিচ্ছি। আমি ও আমার পিতা কাজ শেষে ২৪০ টাকা পাব, তা দিয়েই আজকের বাজার করতে হবে। এছাড়া বিকেলে ও রাতে দুটি প্রাইভেট পড়িয়ে যে টাকা পাই তা থেকে নিজের খরচের জন্য কিছু টাকা রেখে বাকি টাকা তুলে দেই বাবার হাতে। মজিদের স্বপ্ন উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে সে ভবিষৎতে চার্টার একাউন্ট হতে চায়। আর এ জন্য প্রয়োজন সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা। সমাজের মহানুভব সমাজপতি ও সরকারের সংশিষ্ট মন্ত্রনালয়ের পৃষ্ঠপোষকতা পেলে দিনমজুর ও মেধাবী ছাত্র মজিদ হাওলাদার চার্টার একাউন্ট হতে পারে।


গৌরনদী ডট কমের পক্ষ থেকে মজিদ-কে জানাচ্ছি শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

সমাজের বিত্তবান / প্রভাবশালী ও প্রবাসীদের কাছে বিনীত অনুরোধ মজিদ-কে সহযোগীতা করার জন্য