মেঘ দেখলেই ছুটি! শ্রেণী কক্ষের অভাবে গরংগল দাখিল মাদ্রাসায় খোলা বারান্দায় ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ নানা সমস্যায় জর্জড়িত গৌরনদীর গরংগল দাখিল মাদ্রাসা। শ্রেনী কক্ষের অভাবে এখানকার শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন যাবত খোলা বারান্দায় ক্লাশ করছে। মেঘ দেখলেই তাদের ছুটি দেয়া হয়। অত্র মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের জন্য খেলার মাঠ নেই। নেই বেঞ্চ, চেয়ার-টেবিলসহ প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র। এ সমস্যা  দীর্ঘ দিনের হলেও সমাধানের উদ্যোগ নিচ্ছেনা কেউ।

গত বৃহস্পতিবার সরেজমিন গিয়ে দেখাগেছে, মাদ্রাসার এবতেদায়ী শাখার শিক্ষার্থীরা খোলা বারান্দায় ক্লাশ করছে। জানা গেছে, এ মাদ্রাসাটি ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও এখানে সরকারি উদ্যোগে ৪ রুম বিশ্ষ্টি একটি ভবন তৈরী করা হয়েছে ২০০৫ সালে। ওই ভবনের ৩টি রুম ক্লাশ রুম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। অন্য রুমটি ব্যবহৃত হচ্ছে মাদ্রাসার অফিস ও লাইব্রেরী হিসেবে। এ ছাড়া বহু আগে নির্মিত একটি ভাঙ্গা-চোরা টিনের ঘরে ৩ টি ক্লাসের শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেয়া হচ্ছে। মাদ্রাসার এবতেদায়ী (প্রাইমারী) শাখার শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেয়ার জন্য আলাদাভাবে কোন শ্রেনী কক্ষ না থাকায় তাদের ক্লাস নেয়া হচ্ছে মাদ্রাসা ভবনের খোলা বারান্দায়। শিক্ষকরা জনান, ঝড় বৃষ্টি হলে টিনের ঘর ও বারান্দায় ক্লাস নেওয়া যায় না। তাই নিরুপায় হয়ে মেঘ দেখলে তাদের ছুটি দিতে হয়। গরংগল দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা হেমায়েত উদ্দিন জানান, শিশু শ্রেনী থেকে দাখিল পর্যন্ত বর্তমানে ৫১২ জন শিক্ষার্থী অত্র মাদ্রাসায় পড়াশোনা করছে। ১১টি শ্রেনীর জন্য ১১টি ক্লাশ রুমের প্রয়োজন হলেও এখানে মাত্র ৬টি ক্লাশ রুম আছে। শ্রেনী কক্ষের অভাবে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেয়া সম্ভব হচ্ছেনা। খেলার মাঠ থাকলেও তা খেলাধুলা করার অনুপযোগি, সামান্য বৃষ্টি হলে পানি জমে যায়। এছাড়া চেয়ার, টেবিল, বেঞ্চ সহ অন্যান্য আসবাবপত্র সংকটের কথাও তিনি উল্লেখ করেন। এ ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা চান তিনি।

মেঘ দেখলেই ছুটি! শ্রেণী কক্ষের অভাবে গরংগল দাখিল মাদ্রাসার খোলা বারান্দায় ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা