ঝালকাঠির দু’টি আসনের সীমানা নির্ধারন শুনানী ২৫ এপ্রিল

আহমেদ আবু জাফর, ঝালকাঠি ॥  আগামী ২৫ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে ঝালকাঠি-১ ও ২ আসনের সীমানা নির্ধারন বিষয়ক শুনানী অনুষ্ঠিত হবে। ঝালকাঠি-২ আসন থেকে নলছিটি উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন কেটে আসন-১ (রাজাপুর-কাঠালিয়ায়) নেয়ার জন্য আবেদন করে কয়েক জন নাগরিক। ঐ আবেদনের বিপরীতে পাল্টা আবেদনও করা হয় নির্বাচন কমিশনে। চলছে আন্দোলন কর্মসূচীও। ইতিমধ্যে নলছিটি উপজেলা রক্ষা কমিটির নামে একটি সংগঠনের মাধ্যমে ঢাকায় সাংবাদিক সম্মেলন করে ব্যাপক কর্মসূচী গ্রহন করে। কর্মসূচীর মধ্যে আগামী কাল রোববার জেলা প্রশাসক ও নির্বাচন কর্মকর্তা বরাবরে স্মারকলিপি পেশ এবং ২৫ এপ্রিল প্রধান নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হবে। এ ব্যাপারে নলছিটি উপজেলা রক্ষা কমিটির আহবায়ক মিঞা আহমেদ কিবরিয়া বলেন, উপজেলাটিকে রক্ষা করতে যা কিছু দরকার তা করা হবে। কোনক্রমেই ষড়যন্ত্রকারীদের খোড়া অযৌক্তিক দাবী মানা যাবেনা। তাই জনগনকে সম্পৃক্ত হয়ে আন্দোলনকে শক্তিশালী করার আহবান জানান তিনি।

জানা গেছে, একটি চক্র উপজেলার ৪টি ইউনিয়নকে কেটে রাজাপুর-কাঠালিয়ার সাথে অন্তভূক্ত করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। ইউনিয়ন গুলো হল বরিশাল সংলগ্ন কুশংগল, বাকেরগঞ্জ সংলগ্ন সুবিদপুর, মোল্লারহাট ও রানাপাশা। ইউনিয়ন চারটিতে প্রায় ৬০ হাজার নাগরিকের বসবাস। তারা কখনও কোন কাজে রাজাপুরের সাথে সম্পৃক্ত ছিলনা। বিষখালী নদী থেকে আলাদা এ ইউনিয়ন চারটির নাগরিকরা কোন কিছুর বিনিময়ে রাজাপুর-কাঠালিয়ার সাথে যাবেন না বলে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।

ঝালকাঠি নাগরিক ফোরাম আহবায়ক বলেন, বিষখালী নদী দ্ধারা বিচ্ছিন্ন ইউনিয়ন চারটিকে রাজাপুর-কাঠালিয়ার সাথে একীভূত করা অযৌক্তিক। কেননা এখানকার নাগরিকদের যোগাযোগ জেলা শহর ঝালকাঠি, উপজেলা নলছিটি ও বিভাগীয় শহর বরিশালের সাথে। তাই এদেরকে নির্বাচনী এলাকা রাজাপুর-কাঠালিয়ার সাথে সংযোগ করার দাবী কোন ভাবেই মেনে নেয়া যাবেনা।