বিরোধীদের উপর চড়াও হতে ছাত্রলীগকে পরামর্শ পাটমন্ত্রীর!!!

নিজেদের মধ্যে মারামারি না করে বিরোধীদের উপর চড়াও হতে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের পরামর্শ দিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী। আজ শনিবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে যুদ্ধাপরাধীদের অতি দ্রুত বিচার ও জাতীয় উন্নয়ন বিরোধী কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ-শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ পরামর্শ দেন। আওয়ামী সাংস্কৃতিক ফোরাম এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বস্ত্রমন্ত্রী বলেন, বিগত ৭ বছর ছাত্রলীগই নেতা-কর্মীরা মার খেয়েছে। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজির সঙ্গে সম্পৃক্ত নয় দাবি করে তিনি বলেন, চক্রান্তকারীরা সংগঠনে ঢুকে নাশকতা চালাচ্ছে। ফোরামের সভাপতি মিজু আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট শামসুল হক টুকু, মিজানুর রহমান খান দীপু এমপি, অভিনেতা প্রবীর মিত্র প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। তিনি আরো বলেন, বিএনপির কর্মীরা ডাকাত, আর আওয়ামী কর্মীরা হলো ছিঁচকে চোর। আগে বিএনপি নেতা-কর্মীরা গ্রেফতার হলে পুলিশকে প্যাকেট বিরিয়ানি খাইয়ে সরাসরি নিজেরা জেল থেকে বের হয়ে আসতো। আর বর্তমান আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা গ্রেফতার হলে টুকু সাহেবের সহযোগিতা নেয়। ওয়ান-ইলেভেনের সময় ভূমিকার জন্যে সাংবাদিকদের সমালোচনা করেন আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। ঘটনার  নায়কদের কাছ থেকে টাকা খেয়ে সাংবাদিকরা ওয়ান-ইলেভেনকে আর্শীবাদ জানিয়েছিল এবং টেলিভিশনের ক্যামেরাম্যানরা টাকা না দিলে আমাদের নিউজ দেখাতো না। তিনি টিভি ও পত্রিকার মালিকদেরকে সুবিধাভোগী হিসেবে আখ্যায়িত করেন। বস্ত্রমন্ত্রী ওয়ান-ইলেভেনের সময় আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিকুল হকের সমালোচনা করে বলেন, তিনি আইনজীবী নন বরং ব্যবহারজীবী হিসেবেই খ্যাত। আওয়ামীলীগ, বিএনপি সবার কাছ থেকেই তিনি সুবিধা ভোগ করেন। যুদ্ধাপরাধের বিচারে জামায়াত নেতাদের আইনি সহায়তা দিতেও ব্যারিষ্টার রফিকুল হক কুন্ঠাবোধ করবেন না বলেও মন্তব্য করেন  আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে দেশব্যাপী জনমত গঠন করতে আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানান।