মুলাদীতে তদন্ত ছাড়াই মামলার চার্জশীট দাখিলের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার ॥  বরিশালের মুলাদী থানা পুলিশের বিরুদ্ধে মোটা অংকের টাকা উৎকোচের বিনিময়ে একটি মিথ্যে মামলার তদন্ত ছাড়াই নিরিহ গ্রামবাসীকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশের রহস্যজনক আচারনে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে পুলিশী হয়রানী থেকে রক্ষা পেতে গ্রামবাসীরা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

মুলাদী উপজেলার উত্তর গাছুয়া গ্রামের বাসিন্দা ও চরকালেখা ইউনিয়ন আ’লীগের সিনিয়র সহসভাপতি নুরুল হক খান, সমাজ সেবক আমির হোসেন সরদারসহ অনেকেই অভিযোগ করেন, উত্তর গাছুয়া গ্রামের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া জয়ন্তী নদীতে জেগে ওঠা চর দখলের জন্য স্থানীয় প্রভাবশালী এস.এম আজহারুল ইসলাম ও তার লোকজনে একাধিকবার চেষ্ঠা করেও গ্রামবাসীদের প্রতিরোধের মুখে ব্যর্থ হন। ফলশ্র“তিতে তিনি (আজহারুল) তার শ্যালক চরকালেখা গ্রামের বাসিন্দা স্বপন তালুকদারকে বাদি করে গত ২৫ ফেব্র“য়ারি রাতে মুলাদী থানায় একটি সাজানো মিথ্যে হামলা, লুটপাট ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ এনে আ’লীগ নেতা নুরুল হক খান, প্রধান শিক্ষক মোশারফ হোসেন সরদার, শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন খান, দিন ইসলাম সরদার, নুরুউদ্দিন সরদার গংকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। অভিযোগে আরো জানা গেছে, মুলাদী থানা পুলিশ শুরু থেকেই রহস্যজনক কারনে অভিযোগের তদন্ত না করেই মামলাটি সরাসরি এজাহারভুক্ত করে আসামিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান পরিচালনা করেন। ফলে র্দীঘদিন পুরো গ্রামটি ছিলো পুরুষ শুন্য।

স্থানীয় সমাজ সেবক আমির হোসেন সরদার অভিযোগ করেন, গত ৯ এপ্রিল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মুলাদী থানার এস.আই মোতালেব হোসেন মোটা অংকের টাকা উৎকোচের বিনিময়ে মামলার তদন্ত না করেই আসামিদের অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট জমা দিয়েছেন। মিথ্যে মামলার শুরু থেকেই থানা পুলিশের এ রহস্যজনক আচারনে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে পুলিশী হয়রানী থেকে রক্ষা পেতে গ্রামবাসীরা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।