আগৈলঝাড়া হাসপাতালের অধিক ঝুঁকিপূর্ন ভবন ধ্বসে প্রাণহানির আশংকা

তপন বসু, আগৈলঝাড়া ॥  বরিশালের আগৈলঝাড়ার ৫০ শয্যার হাসপাতালের মুল ভবন অধিক ঝুকিপূর্ন হওয়ায় গত তিন বছর পূর্বে ভবনটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সিএমএমইউ’র কাছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের একাধিকবার ঝুকিপূর্ন ভবন হিসেবে চিহ্নিত করার দাবি গত তিন বছরেও আমলে নেয়নি তারা। ফলে হাসপাতালটি ধ্বসে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনায় ব্যাপক প্রানহাণির আশংকা রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লে¬েক্স হিসেবে মুল ভবনটি ১৯৮০ সনে নির্মাণ করা হয়। তখন এটি ছিলো ৩২ শয্যার হাসপাতালটি। শুরুতেই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিন্মমানের নির্মান সামগ্রী দিয়ে হাসপাতালের ভবন নির্মানের কাজ করায় ইতোমধ্যে একাধিকবার এ হাসপাতালের ভবনে সংস্কার কাজও করতে হয়েছে। যে কারনে ভবন নির্মানের ৩০ বছর পরেই ২০১১ সনের ৪ এপ্রিল হাসপাতালের মুল ভবনটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঝুকিপূর্ন ভবন হিসেবে চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি প্রেরণ করেন। যেখানে অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসা দেয়ার কথা সেখানে অসুস্থ হয়ে ভর্তিকৃত রোগীরা ভবনের ছাদের আস্তর খসে পরে পুর্ণরায় আহত হয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করারও একাধিক ঘটনা ঘটেছে এ হাসপাতালে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, একই অবস্থায় রয়েছে হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের আবাসিক ভবনটিও। ওই ভবনের বসবাসরত হাসপাতাল মসজিদের ইমাম মাওলানা মোঃ রেদোয়ান হোসেন জানান, তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তিনি মৃত্যুর ঝুকির মধ্যে বসবাস করছেন। ওই ভবনে অপর বসবাসকারী ও হাসপাতালের বাবুর্চি আমেনা বেগম জানান, প্রায়ই তার কক্ষের ছাদের আস্তর খসে পরেছে। ছাদের বড় একটি অংশ পড়ে তার একটি খাটও ভেঙ্গে গেছে। মৃত্যুকে  সাথে নিয়েই তিনি নিরুপায় হয়ে ওই ভবনে বসবাস করছেন বলেও উল্লেখ করেন। ভবনের দুটি কক্ষে দুটি পরিবার বসবাস করলেও অন্য দুটি কক্ষ জরাজির্ন হওয়ায় দুর্ঘটনার আশংকায় কেউ থাকছেন না।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ সেলিম আহম্মেদ জানান, হাসপাতালের মুলভবনটি তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে এখনও পরিত্যক্ত ঘোষণা করেনি সংশ্লিষ্ট বিভাগ। তবে গতকাল রবিবার এক সভা শেষে তাকে জানানো হয়েছে আবসিক ভবনগুলো সংস্কারের জন্য শিঘ্রই অর্থ বরাদ্দ করা হবে।