প্রচন্ড তাপদাহে একটু স্বত্তি পেতে বিক্রি বেড়েছে তাল শাঁস

প্রেমানন্দ ঘরামী ॥  প্রচন্ড তাপদাহে দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে জনজীবন। গত দশদিন থেকে বৃষ্টির দেখা নেই বরিশালসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলে। তাই তীব্র তাপদাহের মাঝে একটু স্বত্তি পেতে শৌখিন ক্রেতা থেকে শুরু করে সাধারন মানুষের কাছে মধু মাসের ফল তাল শাঁসের কদর বেড়ে গেছে।

বরিশাল নগরীসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার প্রধান প্রধান সড়কের মোড়ে মোড়ে বিক্রেতারা এখন হরদমে বিক্রি করছেন তাল শাঁস। কোন কোন বিক্রেতারা ভ্যানযোগে পাড়া ও মহল্লায় ঘুরেও তাল শাঁস বিক্রি করছেন। জেলার বিভিন্ন উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল ঘুরে তাল শাঁস ক্রয় করে তা বিক্রি করে জিবীকা নির্বাহ করছেন শত শত পরিবারের লোকজন।

গৌরনদীর দক্ষিণ বিজয়পুর গ্রামের তাল শাঁস বিক্রেতা কদম আলী জানান, প্রতিবছর মধুমাসে সে গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে পাইকারি দামে তাল শাঁস ক্রয় করে পৌর শহরে বিক্রি করে থাকেন। ঘূর্ণিঝড় সিডর ও আইলায় উপজেলার অসংখ্য তাল গাছ বিনষ্ট হয়ে গেছে। তাছাড়া চলতি মৌসুমে তালের ফলন কম হওয়ায় উপজেলার সর্বত্র তাল শাঁসের সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে চড়া মূল্যে এ মৌসুমী ফল বিক্রি করতে হচ্ছে বলেও সে উল্লে¬খ করেন। প্রতিটি তাল শাঁস তিনি ১০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। এতে তার প্রতিদিন তিন থেকে চার’শ টাকা আয় হচ্ছে। সৌখিন ক্রেতা থেকে শুরু করে স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীরা প্রচন্ড গরমে একটু স্বস্তি পেতে ভীড় করছেন তাল শাঁস বিক্রেতাদের কাছে।

আজ শুক্রবার দুপুরে গৌরনদী পৌর এলাকার আশোকাঠী বাসষ্ট্যান্ডে দেখা গেছে, গাড়ি থামিয়ে অনেক শৌখিন ক্রেতারাও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জন্য পীর (একবোটা) হিসেবে তাল শাঁস ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছেন। রিকসা চালক থেকে শুরু করে সকল শ্রেণী বা পেশার লোকজনই মৌসুমী ফল তাল শাঁস ক্রয় করতে ভীড় করছেন বিক্রেতাদের কাছে। চলতি মৌসুমে তালের ফলন কম হওয়ায় বিক্রেতাদের আনা মৌসুমী ফল তাল শাঁস মুহুর্তের মধ্যেই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে।