গৌরনদীতে কৃষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

মণীষ চন্দ্র বিশ্বাস ॥  বরিশালের গৌরনদীর মাহিলাড়ায় গতকাল ইউএসএইড এর আর্থিক সহায়তায় নতুন প্রযুক্তি নিয়ে মাঠ পর্যায়ে গবেষণা ও প্রযুক্তির দ্রুত সম্প্রসারণের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনিস্টিটিউট (ইরি) প্রান্তিক, ক্ষুদ্র এবং মাঝারী কৃষক-কৃষাণীদের জীবনমান উন্নয়নের স্বার্থে “সিরিয়াল সিস্টেমস্ ইনিশিয়েটিভ ফর সাউথ এশিয়া (সিসা)-বাংলাদেশ” প্রকল্পটি বিগত আড়াই বছর যাবৎ বাংলাদেশের ছয়টি হাবে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ ও বিভিন্ন এনজিও এর মাধ্যমে পরিচালনা করছে।

 
বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (বিডিএস)’র আধুনিক বোরো জাতসমূহের অভিযোজন” শীর্ষক মাঠ দিবসের আয়োজন করে। মাঠ দিবসে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় কৃষক প্রতিনিধি আঃ মালেক আকন। বিশেষ অতিথি ছিলেন এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট অফিসার দেব কুমার নাথ। এছাড়া মাঠ দিবসটিতে মাহিলারা ও বাটাজোর ইউনিয়নের প্রায় ৬০ জন কৃষক-কৃষাণীরা অংশগ্রহণ করেন।

উল্লেখ্য, মাহিলারা ও বাটাজোরে এবার সিসা-ইরি প্রজেক্টের মাধ্যমে বোরো মৌসুমের উপযোগী এবং উচ্চফলনশীল জাত  ব্রি ধান২৯, ব্রি ধান হাইব্রিড ধান-৩ ও সুগন্ধি ধান ব্রি ধান৫০ এর প্রদর্শনী স্থাপন করা হয়। অনুষ্ঠানটি অত্যন্ত  অংশগ্রহণমূলক ছিল এবং সকলের উপস্থিতিতে প্রদর্শনীকৃত জাত ব্রি ধান৫০ ও ব্রি হাইব্রিড ধান৩ জাতের ধানের ফসল কর্তন ও মাড়াই শেষে ফলন যাচাই এবং কৃষকদের সাথে অংশগ্রহণমূলক আলোচনা করা হয়। ব্রি ধান৫০ ধানের গড় ফলন ৭.৫ টন/হেক্টর ও ব্রি হাইব্রিড ধান৩ এর গড় ফলন ৯ টন/হেক্টর পাওয়া যায়। উপস্থিত কৃষক-কৃষাণী, কৃষি কর্মকর্তা, সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সকলেই উভয় জাতের মাঠের অবস্থা এবং ফলন দেখে অত্যন্ত সন্তোষ প্রকাশ করেন। নানা কারণে কৃষক অন্য জাতের ধান থেকে ব্রি হাইব্রিড ধান৩ কে পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রেখেছেন, যেমন-ব্রি ধান৪৯ অপেক্ষাকৃত মোটা, পানি ও রোগ পোকামাকড় সহিষ্ণু, তুলনামূলকভাবে আগাম, ফলন সন্তোষজনক এবং বাজারে দাম ভাল পাওয়া যাবে। অপরদিকে, ব্রি ধান৫০ একটি আধুনিক চিকন, লম্বা ও সুগন্ধি জাত, ফলন খুব ভাল, বাজারে দাম অনেক বেশী। কৃষকদের দাবী  আগামী মৌসুমে ভাল বীজ পেলে এ এলাকায় ব্রি হাইব্রিড ধান৩ ও ব্রি ধান৫০ চাষে কৃষক উদ্বুদ্ধ হবে।