বরিশালে হেফাজত-বিএনপির তান্ডব ॥ ৮৬ জনকে আসামি করে মামলা

বিশেষ প্রতিনিধি ॥  বরিশাল নগরীসহ জেলার গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া উপজেলায় হেফাজত ও বিএনপির তান্ডবের ঘটনায় পৃথক ভাবে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলায় বিএনপি ও হেফাজতের মোট ৮৬ জন নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে। এরমধ্যে গৌরনদী থানা পুলিশ দু’বিএনপি নেতাকে আজ মঙ্গলবার গ্রেফতার করেছে।

জানা গেছে, নগরীর কোতয়ালী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) আসাদুজ্জামান বাদি হয়ে আজ মঙ্গলবার সকালে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ৬০ জনকে আসামি করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে পুলিশের সরকারি কাজে বাঁধা, হামলা এবং যানবাহন ভাংচুরের অভিযোগ আনা হয়।

অপরদিকে সোমবার প্রত্যুষে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের গৌরনদীর ভূরঘাটা বাস টার্মিনালের পাশ্ববর্তীস্থানে পাকিং করা ইলিশ পরিবহনে অগ্নিসংযোগ করে সম্পূর্নভাবে পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় মঙ্গলবার গৌরনদী থানায় স্থানীয় আট বিএনপি ও যুবদল নেতার নামউল্লেখসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা দায়ের করেন গৌরনদী থানার এস.আই মোঃ আলাউদ্দিন।

পুলিশ মামলার এজাহারভূক্ত আসামি খাঞ্জাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউপি সদস্য সরোয়ার আলম মৃধা ও ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক কুদ্দুস সরদারকে গ্রেফতার করে আট দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরন করেছে। একইদিন আগৈলঝাড়ার পয়সারহাট বাসষ্ট্যান্ডে পার্কিং করে রাখা লোকাল বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় শ্রমিক হুমায়ুন কবির বাদি হয়ে ১০ জনকে  অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

উল্লেখ্য, গত রবিবার ঢাকায় অবরোধ কর্মসূচীতে এসে বরিশাল বিএম কলেজের গনিত বিভাগের ছাত্র ও হেফাজত কর্মী ইব্রাহিম এবং রূপাতলী এলাকার বাসিন্দা ইউনুস মোল্লা নিহত হন। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে হেফাজত ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে পশ্চিম কাউনিয়া থেকে বিএম কলেজের সম্মুখ পর্যন্ত আধা কিলোমিটার এলাকায় ব্যাপক তান্ডব চালায়। তারা একটি বাস, দুটি অটোরিকশা, চারটি রিকশা ও একটি টেম্পুসহ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর ও গৌরনদী, আগৈলঝাড়া উপজেলায় দুটি বাসে অগ্নিসংযোগ করে সম্পূর্ণ ভস্মিভূত করে।