গৌরনদীতে মাদ্রাসা ছাত্রীকে অপহরনের সময় একজনকে গণধোলাই

স্টাফ রিপোর্টার ॥  অব্যাহত যৌণ হয়রানী ও অপহরনের হুমকির মুখে মাদ্রাসার ক্লাশ বন্ধ করে নানা বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছিলো অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী রুমা আক্তার পিকিংকে (১৪)। সেখানেও নিরাপদস্থান হলোনা পিকিংর। শুক্রবার গভীর রাতে কৌশলে পিকিংকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মটরসাইকেলযোগে অপহরন করে নেয়া হয়। এসময় পিকিংর ডাকচিৎকারে গ্রামবাসী এগিয়ে এসে অপহরনকারীদের ধাওয়া করে একজনকে আটকের পর গণধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে সোর্পদ করেছে। অপর অপহরনকারীরা মটরসাইকেলযোগে ওই ছাত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এ ঘটনায় আজ শনিবার সকালে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার পশ্চিম সমরসিংহ গ্রামে।

এজাহারে জানা গেছে, খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের মাগুড়া নেছারিয়া দাখিল মাদ্রসার অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী ও মাগুড়া গ্রামের আব্দুল খালেক ফকিরের কন্যা রুমা আক্তার পিকিংকে (১৪) মাদ্রাসায় আসা যাওয়ার পথে প্রায়ই যৌণ হয়রানী করে আসছিলো স্থানীয় বখাটে যুবক সুমন খান। বিষয়টি ওই ছাত্রী তার অভিভাবকদের কাছে জানায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বখাটে সুমন ও তার সহযোগীরা ওই ছাত্রীকে অপহরনের হুমকি দেয়। এতে ভয়ে তটস্থ হয়ে তার অভিভাবকেরা মাদ্রাসা বন্ধ করে দিয়ে গত বৃহস্পতিবার ছাত্রীর নানা বাড়ি একই উপজেলার পশ্চিম সমরসিংহ গ্রামে পাঠিয়ে দেয়।

অপহৃতা ছাত্রীর মামা ইলিয়াস সরদার অভিযোগ করেন, শুক্রবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে বখাটে সুমন খান ও তার সহযোগী হেমায়েত হাওলাদার, জহুরুল ফরাজী কৌশলে তাদের বসত ঘরে প্রবেশ করে। তারা অস্ত্রের মুখে পিকিংকে জিম্মি করে মটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে পিকিংর ডাকচিৎকারে এলাকাবাসি ব্যারিকেট দিয়ে হেমায়েত হাওলাদারকে আটক করলেও পিকিংকে নিয়ে অন্যরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। গ্রামবাসী আটককৃত হেমায়েতকে গণধোলাই দিয়ে ওই রাতেই থানা পুলিশের কাছে সোর্পদ করেছে। মুর্মুর্ষ অবস্থায় আহত হেমায়েতকে গৌরনদী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

 

এ ঘটনায় অপহৃতার মামা ইলিয়াস সরদার বাদি হয়ে উল্লেখিত তিনজনকে আসামি করে আজ শনিবার সকালে গৌরনদী থানায় একটি অপহরন মামলা দায়ের করেন।

গৌরনদী থানার ওসি আবুল কালাম জানান, অপহৃতা মাদ্রাসা ছাত্রী রুমা আক্তার পিকিংকে উদ্ধার ও অপর আসামিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের জোরপ্রচেষ্টা চলছে।