কুমিল্লার অপহৃতা স্কুল ছাত্রীকে দেড় মাস পর উজিরপুর থেকে উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার ॥  কুমিল্লা জেলার হোমনা থানার অপহরন মামলার আসামি অপহরনকারীকে গ্রেফতার ও অপহৃতা স্কুল ছাত্রীকে এক মাস উনিশ দিন পর বরিশালের উজিরপুর উপজেলার কাংশী গ্রাম থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার রাতে হোমনা ও উজিরপুর থানা পুলিশের যৌথ অভিযান চালিয়ে অপহরনকারীকে গ্রেফতারের পর অপহৃতাকে উদ্ধার করে।

 
এজাহারের উদ্বৃতি দিয়ে পুলিশ জানায়, হোমনা থানার ঘনিয়ারচর গ্রামের আনিচুর রহমানের নবম শ্রেনীতে পড়–য়া কন্যা সুমি আক্তার গত ২০মার্চ বিকেলে বাড়ি থেকে প্রাইভেট পড়ার উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় একই গ্রামের মহসিন মিয়ার বখাটে পুত্র শাহজালাল ও তার সহযোগীরা জোড়পূর্বক সুমির মুখ চেঁপে সিএনজিতে উঠিয়ে অপহরন করে নিয়ে যায়। এসময় সুমির ডাকচিৎকার শুরু করলে স্থানীয়রা এগিয়ে এসেও তাকে (সুমিকে) রক্ষা করতে পারেনি। এ নিয়ে অপহৃতার পরিবার অপহরনকারী শাহজালালের পরিবার ও তার সহযোগীদের চাপপ্রয়োগ করায় গত ২৩ মার্চ সকালে শাহজালালের সহযোগীরা আনিচুর রহমানকে ছুরিকাঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে।

সুমিকে অপহরনের ঘটনায় তার চাচা সিদ্দিকুর রহমান শাহজালালসহ ৫ জনকে আসামি করে হোমনা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামালার পর হোমনা থানা পুলিশ মোবাইল ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে শাহজালালের অবস্থান নির্ধারন করে বরিশালের উজিরপুর উপজেলায়। পরবর্তীতে হোমনা থানা পুলিশ উজিরপুর থানা পুলিশের সহযোগীতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার কাংশি গ্রামের সৌদি প্রবাসী লিটন সরদারের বাড়িতে আত্মগোপনে থাকা শাহজালালকে গ্রেফতার ও অপহৃতা সুমিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।  ওইদিন রাতেই অপহৃতা ও অপহরনকারীকে হোমনা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

অপহৃতা সুমি আক্তার জানায়, ২৫ দিন পূর্বে শাহজালালের ভাইয়ের বন্ধু লিটন সরদারের বাড়ি উজিরপুরের কাংশীতে তাকে নিয়ে আসা হয়।