মহাসেনের প্রভাবে এলজিইডি’র সড়কের ব্যাপক ক্ষতি

তপন বসু, আগৈলঝাড়া ॥  ঘুর্নি ঝড় মহাসেনের প্রভাবে প্রবল ভারি বর্ষণে বরিশালের আগৈলঝাড়ায় উপজেলার এলজিইডি, সওজ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেরি বাধের সড়কে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিধ্বস্ত হয়েছে এলজিইডি’র প্রায় ৩৫ কি.মি. পাকা সড়ক। এতে ক্ষতির পরিমান দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। এছাড়াও উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের অভ্যন্তরীণ কাচা-পাকা সড়ক ধ্বসে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে এলজিইডি বিভাগ জানিয়েছে।
 
উপজেলা প্রকৌশলী রাজ কুমার গাইন

জানান, মহাসেনের প্রভাবে বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ভারি বর্ষণে উপজেলার ৩৪.২ কিলোমিটার পাকা সড়কের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ওই সড়কগুলোতে ২ কোটি ৫৩ লাখ টাকার প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতি নিরুপন করা হয়েছে। এলজিইডি’র ক্ষতিগ্রস্থ সড়কগুলোর মধ্যে রয়েছে গৌরনদী উপজেলার গয়নাঘাট থেকে রাজিহার বাজার সড়কে ২ কি.মিটারে ৫ লাখ টাকা, কালুরপাড় থেকে দুশুমির বাজার ২.৫০কি.মি. সড়কে ৮ লাখ টাকা, আগৈলঝাড়া থেকে পয়সারহাট ৪ কি.মি ক্ষতিগ্রস্থ সড়কে ১ কোটি টাকা, মাহিলাড়া থেকে ছয়গ্রাম সড়কের কাজিরহাট পর্যন্ত ৩.৯ কি.মি ও আগৈলঝাড়া সদর থেকে বাকালহাট পর্যন্ত ২.৫০ কি.মি সড়কে ৫ লাখ টাকা, কাজিরহাট বাজার থেকে ত্রিমুখি বাজার পর্যন্ত ৩.৫০ কি.মি. সড়কে ৮ লাখ টাকা, দাসেরহাট থেকে সেরাল পর্যন্ত ৩.৯ কি.মি. সড়কে ১০ লাখ টাকা, পয়সারহাট থেকে বাগধা পর্যন্ত ২ কি.মি সড়কে ৭লাখ টাকা, বাশাইল ইউপি কার্যালয় থেকে চেঙ্গুটিয়া হয়ে টরকী বন্দর পর্যন্ত ৩ কি.মি সড়কে ৫০ লাখ টাকা, বার্থী-ভালুকশী- মাগুড়া সড়ক ২কি.মি. সড়কে ৪ লাখ টাকা গৈলা থেকে কুমারভাঙ্গা পর্যন্ত সড়কের ৪ কি.মিটারে ৫০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

এছাড়াও উপজেলার অভ্যন্তরীণ কাচা সড়কে বৃষ্টির কারনে বিধ্বস্ত হওয়ায় যোগায়োগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত রয়েছে। অভ্যন্তরীণ সড়কেও প্রায় ২ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে সূত্রটি জানিয়েছেণ।

এদিকে পয়সারহাট থেকে সাতলা পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেরী বাধের বিভিন্নস্থানে ভেঙ্গে চরম ঝুকির মধ্যে রয়েছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের বাস্তবায়নাধীন গৌরনদী-আগৈলঝাড়া-পয়সারহাট সড়কের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টিতে ধ্বসে পড়েছে।

ইতোমধ্যেই উপজেলা এলজিইডি অফিস থেকে ক্ষয়ক্ষতির একটি তালিকা নির্বহী প্রকৌশলীর কাছে প্রেরণ করা হয়েছে। সহসাই বিধ্বস্ত এব সড়ক সংস্কার করা না হলে চরম বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হবে জনগনকে। ভাংগা সড়কে অব্যাহত যান চলাচল করলে ওই সড়কগুলো আরও ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে একবারেই যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশংকা করছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ।