শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা : সাবেক এমপি স্বপনসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন

বিশ্বজিত সরকার বিপ্লব ॥  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধীদলীয় নেত্রী থাকাকালীন ২০০৪ সনে দক্ষিণাঞ্চলে সফরকালে বরিশালের গৌরনদী বাসষ্ট্যান্ডে তার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার ছয় আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এছাড়াও মামলার আসামি বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপনসহ বিএনপির ১৭ জন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে চার্জ (অভিযোগ) গঠন করা হয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগ গঠনকালে আদালতে হাজির না থাকায় মামলার ছয় আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করা হয়। অন্যান্য আসামিদের উপস্থিতিতে বরিশাল চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মাসুদুর রহমান রবিবার শেষ বিকেলে এ রায় ঘোষণা করেন। মামলার চার্জশীটভূক্ত ৪১ জন আসামির মধ্যে ১৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন এবং অপর ৩৩ আসামিকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

অভিযোগ গঠন করা আসামিরা হচ্ছেন-বিএনপি দলীয় সাবেক এমপি জহির উদ্দিন স্বপন, বিএনপি নেতা সরোয়ার আলম বিপ্লব, শরীফ জহির সাজ্জাত হান্নান, হাবুল শরীফ, জাকির হোসেন, মিন্টু, বাবুল, মিজানুর রহমান খান মুকুল, সামসুল হক, চুন্নু সিকদার, হাবুল সরদার, ফজলু প্যাদা, রুবেল হাওলাদার, বদিউজ্জামান মিন্টু, মাহফুজ মোল্লা, বদিউজ্জামান মিয়া ও মাহমুদ মোল্লা।

অভিযোগ গঠনকালে আদালতে হাজির না থাকায় গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করা আসামিরা হচ্ছেন-বরিশাল জেলা উত্তর যুবদলের সাধারন সম্পাদক ও গৌরনদী উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বদিউজ্জামান মিন্টু, বজলু প্যাদা, চুন্নু সিকদার, রুবেল হাওলাদার, শামিউল হক ও হাবুল। সূত্রমতে, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গৌরনদী থানার এস.আই শাহাজাহান খান ২০১১ সনের ৩০ এপ্রিল উল্লেখিত ১৭ জনসহ মোট ৪১ জন আসামিকে অভিযুক্ত করে এবং ৯ জনকে মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের করেন।

উল্লেখ্য, ২০০৪ সনের ২ এপ্রিল গৌরনদী বাসষ্টান্ডে বসে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ির বহরের ওপর হামলা চালানো হয়। হামলায় শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত সহকারী ড. আওলাদ হোসেন, বর্তমান মন্ত্রী ওবায়েদুল কাদের, জাহাঙ্গীর কবীর নানক, আওয়ামীলীগ নেতা বাহাউদ্দিন নাছিম, ছাত্রলীগ নেতা লিয়াকত আলী সিকদার ও তৎকালীন গৌরনদী উপজেলা আ’লীগের সভাপতি কালিয়া দমন গুহসহ অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন। এ ঘটনার ৫ বছর পর গৌরনদী উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক গোলাম হাফিজ মৃধা বাদি হয়ে ২০০৯ সনের ২০ জুলাই গৌরনদী থানায় মামলাটি দায়ের করেন।