বরের পায়ে শিকল

ছলনায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে লক্ষী রানীর সাথে বিপ্লব গড়ে তোলে দৈহিক সম্পর্ক। এরই মধ্যে লক্ষি রানী অন্তঃস্বত্তা হয়ে পরে। বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে লক্ষী রানী বিয়ের জন্য বিপ্লবকে চাপ প্রয়োগ করলে বিপ্লব নানা তালবাহান শুরু করে। উপায়অন্তুর না পেয়ে লক্ষী রানী বিষয়টি এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের অবহিত করেন। এ নিয়ে গত ১০ জুলাই রাতে স্থানীয় ভাবে গ্রাম্য সালিশ বৈঠক বসে। বৈঠকে বিপ্লব ও লক্ষী রানীর স্বীকারোক্তি মতে বিয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহন করে তাৎক্ষনিক স্থানীয় কালী মন্দিরে বিয়ের সকল আয়োজন সম্পন্ন করা হয়। বিয়ের পরের দিন ১১ জুলাই সকালে বিপ্লব বাছার ও তার পিতা বিপেন চন্দ্র বাছার লক্ষি রানীকে গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দেয়ার জন্য বিভিন্ন রকম হুমকি প্রদান করে। একপর্যায়ে ওইদিন (১১ জুলাই) সকালেই বিপেন আত্মগোপন করেন। ওইদিন দুপুরে বিপ্লবও পালিয়ে যাবার সময় লক্ষি রানী ডাকচিৎকার শুরু করে। এসময় গ্রামবাসি এগিয়ে এসে বিপ্লবকে আটক করে। এলাকার প্রবীন ব্যক্তি অমৃত লাল ভক্ত জানান, আত্মগোপন করে থাকা বিপ্লবের পিতা বিপেন বাছারকে বাড়ি ফিরিয়ে এনে লক্ষিকে পূত্রবধূ হিসেবে মর্যাদা দেয়ার জন্য গ্রামবাসী বিপ্লবের পায়ে শিকল বেঁধে দিয়েছে। তিনি আরো জানান, লক্ষি রানীর সিথিঁর সিঁদুর অক্ষুন্ন ও তার গর্ভের সন্তানের পিতৃ পরিচয়ের জন্য গ্রামবাসি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। গত তিনদিন থেকে বিপ্লবের পায়ে শিকল বাঁধা রয়েছে। এ ব্যাপারে বিপ্লব বাছার কোন কথা বলতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। চার মাসের অন্তঃস্বত্তা অসহায় লক্ষি রানী স্বামীর অধিকার ও গর্ভের সন্তানের পিতৃ পরিচয়ের দাবিতে বিভিন্ন মানবাধিকার ও মহিলা উন্নয়ন সংস্থার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।